এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ভোট আবহে বাস নিয়ে কপালে ভাঁজ পরিবহণ কর্তাদের

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোটের সময় যে রাস্তা থেকে বাস-মিনিবাস মায় সবরকমেরই গণপরিবহণ তুলে নেওয়া হয় ভোটের কাজের জন্য সেটা কে না জানে। কেননা এই পদক্ষেপের দরুণ সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় আমজনতাকে। কেননা এই সময় ভোটের দিনটি ছাড়া কেউই সেভাবে ছুটি পান না নিজ নিজ কর্মস্থলে। রোজ হাজিরা দিতেই হয়। এই অবস্থায় এবারে লোকসভা নির্বাচন(Loksabha Election 2024) হচ্ছে ৭ দফায়। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট গ্রহণ। সপ্তম তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ ১ জুন। অর্থাৎ এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে টানা ৩ জুন অবধি বাংলার(Bengal) পথে বাসের আকাল(Bus Crisis) কার্যত চরমে উঠতে চলেছে। আর এটাই রাজ্যের পরিবহণ কর্তাদের কপালে ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। কেননা ভোটের কাজের জন্য যানবাহন জোগাড় করতে গিয়ে তাঁরা দেখছেন, খাতায়-কলমে তাঁদের কাছে বাস-মিনিবাস সহ যত গণমাধ্যমের সংখ্যা আছে, বাস্তবে তার অর্ধেক রাস্তায় রয়েছে। আর এই অর্ধেকও যদি তুলে নেওয়া যায় তাহলে আমজনতা কীভাবে যাতায়াত করবেন?

লোকসভা ভোটের কারণে বেসরকারি বাস মালিকদের থেকে বাস-মিনিবাস নেওয়ার কাজ শুরু করেছে রাজ্যের পরিবহণ দফতর। পাশপাশি আধা সেনার যাতায়াতের জন্যও বাস তোলা হচ্ছে। সব মিলিয়ে আগামী দু’মাস শহর, শহরতলি এবং জেলাগুলিতে সরকারি বেসরকারি সব বাস ও মিনিবাসের সংখ্যা একলাফে অনেকটাই কমে যেতে চলেছে। সূত্রের দাবি, এখন পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি বেসরকারি বাস-মিনিবাস হুকুম দখল করা হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে ভোটের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ছ’শো সরকারি বাস। ভোটের জন্য বরাদ্দ বাস বিভিন্ন দফায় ব্যবহার করা হবে। ফলে যাত্রী দুর্ভোগ বাড়বে। প্রতিবারই ভোটের সময় বাস তোলা হয়। কিন্তু কোভিড পরবর্তীকালে রাস্তায় বাসের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। তাই এবার বাড়তি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সব থেকে বড় কথা, ভোটের জন্য বাস-মিনিবাস ও বেসরকারি গাড়ি নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মোটর ভেহিকল্‌স ইন্সপেক্টরদের। তাঁরা রাস্তায় নেমে দেখছেন, রাজ্যের পরিবহণ দফতরে(West Bengal State Transport Department) খাতায়কলমে যে সংখ্যক যানবাহন রয়েছে, রাস্তায় চলছে তার অনেক কম। খাতায়কলমে শহর কলকাতার মধ্যে চলাচল করা বাস-মিনিবাসের সংখ্যা ৪ হাজার হলেও, প্রতি দিন রাস্তায় নামছে আড়াই হাজারের মতো বাস-মিনিবাস। এর থেকে যদি ভোটের কাজের জন্য বাস তুলে নেওয়া হয়, তা হলে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের মুখে পড়বেন।

হিসাব মতো লোকসভা নির্বাচনে এবারে প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য ৪৫০ থেকে ৫০০টি বাসের প্রয়োজন হবে। এই বিশাল সংখ্যক বাসের যোগান দেওয়া হবে, একই বাস একাধিক দফায় ব্যবহার করে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, লকডাউন পর্বের পরে অনেক বাস মালিকই আর নিজেদের বাস রাস্তায় নামানি। সেই সময়ে বেসরকারি পরিবহণ যে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা থেকে উদ্ধার পাওয়া এখনও সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। পাশাপাশি, ২০০৯ সালে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে কোনও বাস-মিনিবাস বা যানবাহন কলকাতায় চালানো যাবে না। সেই নির্দেশ কার্যকর করতেই বাসের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। আর এই সময়ে নতুন বাসও সে ভাবে নামাতে পারেননি বেসরকারি বাস মালিকেরা। তাই বাসের এখন কার্যত হাতে গোনায় এসে ঠেকেছে।  

এ প্রসঙ্গে City Suburban Bus Services’র নেতা টিটু সাহা জানিয়েছেন, ‘আমরা অবশ্যই ভোটের প্রয়োজনে বাস দেব। কিন্তু রাস্তায় বাসের সংখ্যা কমে গেলে আমাদের অসুবিধার বিষয়টিও বিবেচনা করতে হবে। লকডাউনের পর বেসরকারি বাস মালিকরা আর তেমন অবস্থায় নেই যে, ৫০ হাজার টাকা করে ইএমআই দিয়ে নতুন বাস রাস্তায় নামাতে পারবেন। বাসের সংখ্যা বাড়াতে তাই রাজ্য সরকারকে বাস মালিকদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।’ আবার অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির নেতা রাহুল চট্টোপাধ্যায়ের জানিয়েছেন, ‘ভোটের মরশুমে বাসের সংখ্যা কিছুটা কম থাকবে। পুলিস-প্রশাসনের তরফে তুলে নেওয়া বাস-মিনিবাসের ভাড়ার অর্ধেক টাকা মিটিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি।’ উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাস ও মিনিবাসের ভাড়া কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। বাসের দৈনিক ভাড়া ২,৩০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ২,৫৩০ টাকা। মিনিবাসের ভাড়া ১,৯০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ২,০৯০ টাকা।    

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সুপ্রিম রায়ের পরে আবির খেললেন শিক্ষকরা, কলকাতায় ফলের জুস খেয়ে অনশন ভঙ্গ

‘সুপ্রিম কোর্টে ন্যায় মেলায় খুশি’, এসএসি মামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া মমতার

তৃতীয় দফার ভোট শান্তিপূর্ণ, দাবি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

বঙ্গে দুর্যোগ চলবে, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা, জলোচ্ছ্বাস বাড়বে

‘সত্যের জয় হয়েছে’, সুপ্রিম নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে টুইট অভিষেকের

গরম বা পুজোর ছুটিতেও নিতে হবে অনলাইন ক্লাস, নয়া নির্দেশ শিক্ষা সংসদের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর