নিজস্ব প্রতিনিধি: কিছুদিন আগেই কলকাতার(Kolkata) গার্ডেনরিচে নির্মীয়মান বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় ১৩জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার সূত্রেই সামনে আসে দুর্ঘটনাস্থলের আশেপাশে আরও বেশ কিছু বাড়ির ছবি যেগুলি বিপজ্জনক ভাবে হেলে গিয়েছে। কিন্তু দেখলে আর শুনলে অবাক হবেন, খাস কলকাতার বুকেই এমন একটি বহুতল বাড়ি আছে যেটি ১৮ বছর ধরে একদিকে হেলে(Leans Four-Storied House)রয়েছে। সেখানে লোকে বসবাসও করে। ঝড়-বৃষ্টিতে বা ভূমিকম্প হলে ওই বহুতলের বাসিন্দারা তৎপরতার সঙ্গে কলকাতা পুরনিগমের(KMC) ইঞ্জিনিয়ার ডাকিয়ে সেই বহুতল পরীক্ষাও করান, কিন্তু ওই বাড়ি থেকে সরার মতো সচেতনতা দেখান না। ওই বাড়িটি রয়েছে মধ্য কলকাতার মানিকতলা(Maniktala) এলাকায়। বাড়িটির ঠিকানা ৪৬/সি/২৯ বিপ্লবী বারীন ঘোষ সরণি। এই বাড়ি রাস্তা থেকে দেখলেই যে কারও বুক আঁতকে উঠবে। সেখানে এই বাড়ির বাসিন্দারা কীভাবে প্রায় দুই দশক ধরে রয়ে গিয়েছেন তা ভাবলেই ভয় লাগে।
তবে ঘটনা হচ্ছে এই বহুতলটিই শুধু নয়, বিপ্লবী বারীন ঘোষ সরণির ঠিকানায় পাশাপাশি একাধিক বাড়ি হেলে রয়েছে। তবে সেগুলি এই বহুতলের মতো এতটা হেলে নেই। চারতলা বাড়িটি ডান দিকে হেলে রয়েছে। অবস্থা এমন, যে সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠার সময়েও হেলে যাওয়া দিকেই টান অনুভব করা যায়। সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে উপরের দিকে তাকালে মাথা ঘুরতে বাধ্য। বাড়িটির একতলার একটি ফ্ল্যাট তালাবন্ধ, সেখানে কেউ থাকেন কী থাকেন না তা পরিষ্কার নয়। বাকি তলায় লোকে থাকেন। বাড়িটির প্রতিটি তলায় একটি করে ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রথম যাঁরা কিনেছিলেন, তাঁরাই এখানে থাকেন। বহুতলের বাসিন্দাদের দাবি তাঁরা LBS-কে দিয়ে বাড়ি পরীক্ষা করিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, বাড়িটিকে যন্ত্র দিয়ে সোজা করতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে হেলে পড়া বাড়ি সোজা করা সম্ভব। কিন্তু কবে আর কত খরচে তা সম্ভব সেটাই তাঁরা জানতে পারেননি। বাড়ি ছেড়ে কখনও কোথাও যেতে হবে বলে তাঁরা কখনও ভাবেননি। এমনকি ওই বহুতলের বাসিন্দাদের দাবি, বাড়ির কোনও অংশে বিপদের কিছু রয়েছে বলে কেউই তাঁদের কিছু বলেননি। তাই বিশেষ ভাবার কিছু আছে বলেও তাঁদের কারও মনে হয়নি।