নিজস্ব প্রতিনিধি: পেট ভরে চেটেপুটে খেয়ে বাবুমশাই বললেন রান্না ভাল হয়নি। তাই রাঁধুনিকে তিনি রাখবেন না। তবে তাঁর জমিজমা তিনি নিজ হেফাজতেই রাখছেন। কিন্তু রাঁধুনিও শুনবেন না, তিনি ছুটলেন থানায়। আর তার জেরেই হাজতবাস বাবুমশাইয়ের। নজরে বাগুইআটি থানা। সেখানেই গ্রেফতার হয়েছেন এক ব্যবসায়ী। কারণ, ভরপেট খেয়েদেয়ে জমি হাতিয়ে তিনি বলছেন করবেন না বিয়ে। মানে বেশ কয়েক বছর ধরে এক তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাসে লিপ্ত হয়েছিলেন তিনি। পেট ভরে গিলে খেয়েছেন তাঁকে হাবুসহুপুস করে। হাতিয়েছেন সেই তরুণীর জমিও। কিন্তু তরুণী বিয়ে করার জন্য চাপ দিতেই সেই ব্যবসায়ী বেঁকে বসেছেন। বলছিলেন করবেন না বিয়ে। তার জেরেই থানায় ছুটতে হয়েছে প্রতারণার শিকার হওইয়া ওই তরুণীকে। কার্যত তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই শেষে গ্রেফতার হয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। নাম তার জিতু প্রসাদ। বাড়ি বালিগঞ্জে।
জানা গিয়েছে, জিতুর সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরেই সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বাগুইআটি এলাকার ওই তরুণীর। জিতুর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা হল, সে শুধু বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে বছরের পর বছর ধরে সহবাস করে গিয়েছে তাই নয়, তরুণীর বাবার নামে থাকা একটি দোকান ও মায়ের নামে থাকা একটি জমিও হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারিত তরুণীর দাবি, ‘কয়েক বছর ধরে জিতু আমার সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপন করেছে। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমাদের যে দোকান ছিল সেই দোকান নিজের নামে লিখিয়ে নিয়েছে। পাশাপাশি আমার মায়ের আর দিদির আঙুলের ছাপ নিয়েছে কাউকে না বলে। আমাদের একটা জমি ছিল। সেই জমিটুকুও লিখিয়ে নিয়ে সেটা বিক্রি করে দিয়েছে। এরপর ও আমায় বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এরপর আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করি। আমি চাই ওর শাস্তি হোক।’
শেষে ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর সঙ্গে সহবাস ও তাঁদের জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে জিতুকে গ্রেফতার করে বাগুইআটি থানার পুলিশ। মঙ্গলবারই তাকে বারাসত আদালতে তোলা হয়। আদালত জিতুকে ২ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার জিতুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবেন তাঁরা।