নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট মামলায় শুনানি হল কলকাতা হাইকোর্টে শুক্রবার। প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগে বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীকে অতিরিক্ত ১ নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কেন সব চাকরিপ্রার্থী বাড়তি এক নম্বর পায়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
শুক্রবার আদালতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান ‘বাস্তব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে বাড়তি নম্বর। এর মধ্যে কোনও দুর্নীতি নেই বলে দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে এদিন আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, ‘বাড়তি নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি’। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই’এর রিপোর্ট তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই’কে মঙ্গলবারের মধ্যে মামলার তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি নির্দেশ দেন, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিবিআই’কে। এই মামলার তদন্তে কী কী অগ্রগতি হয়েছে তাও আদালতকে জানাতে হবে বলে বলেন বিচারপতি। পাশাপাশি সিবিআই’এর তরফে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নথি আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশের পর শুক্রবার আবার প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শুনানি ছিল। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, বাড়তি এক নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে কোথাও কোনও বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, পর্ষদের সভাপতি যদি কোনও দুর্নীতি করে থাকেন, তাহলে আদালতের ক্ষমতা রয়েছে তাঁকে অপসারণ করার। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে।