নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে করোনার সংক্রমণ বেলাগাম হতেই রাজ্যের একাধিক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের গণহারে মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের খবরে রীতিমতো চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতেও শুরু করেছে। কেননা, সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীর ভিড় উপচে পড়েনি। তাই রোগীদের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। ফলে স্বাস্থ্যবিধির দোহাই পেড়ে যাঁরা করোনা সংক্রমণ বেলাগাম হওয়ার জন্য আমআদমিকে কাঠগড়ায় তুলছেন, তাঁরা নিজেরা কতটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন, সেই প্রশ্নও উঠছে।
কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল, রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করাতে গিয়ে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। অথচ এবার চিকিৎসকদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি। নার্স আর স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা হাতেগোনা। ওয়াকিবহালের মতে, বর্তমানে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো পরিস্থিতি হয়নি। কোভিডে আক্রান্ত হওয়াদের মাত্র ৩ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে।
সূত্রের খবর, যাঁরা সাধারণ মানুষের বড়দিন আর নতুন বছরের উৎসবে মেতে ওঠাকে করোনা সংক্রমণের জন্য কাঠগড়ায় তুলছেন সেই চিকিৎসকরাও দুই উৎসবে মোচ্ছবে মেতে উঠেছিলেন। কলকাতার এক হাসপাতালে বড়দিনের আগে বড় অনুষ্ঠানও হয়েছিল। সেখানে শুধু ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা নন, অন্য হাসপাতালের চিকিৎসকরাও হাজির হয়েছিলেন।
প্রতিদিনই যেভাবে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশের কোভিড আক্রান্তের খবর মিলছে, তার পিছনে ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়, বলে মনে করছেন আম আদমি। কেউ-কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখতেই এই কৌশল নেওয়া হচ্ছে না তো? কেননা, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের সিংহভাগই শাসক বিরোধী হিসেবে পরিচিত।