নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে খুলছে স্কুল-কলেজ। দীর্ঘ কুড়ি মাস বন্ধ থাকার পর খুলছে স্কুলের দরজা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে খুলছে স্কুল। যার প্রস্তুতি নিয়েছে শিক্ষা দফতর। নবান্নের বরাদ্দ অর্থের বিনিময়ে স্কুল সারাই চলছে। এর মাঝেই আগামী বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সূচী সাজিয়ে ফেলেছে শিক্ষা দফতর। জানা গিয়েছে পুরভোটের কথা মাথায় রেখেই আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে মাধ্যমিক পরীক্ষা করাতে চাইছে রাজ্য। আর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হতে পারে এপ্রিল মাসের শুরুতে। এমনিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যে সময়ের এতটা ব্যবধান থাকে না। তবে সবটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নবান্ন। এপ্রিলের শেষেই জয়েন্ট পরীক্ষা করাতে চাইছে শিক্ষা দফতর।
ডিসেম্বর মাসে রাজ্যের তিন পুরসভা কলকাতা, হাওড়া ও বিধাননগরে ভোট হতে পারে। যার বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ছট পুজো মিটলেই, এমনটাই জানা গিয়েছে। ডিসেম্বর মাসে এই ভোটপর্ব মিটে গেলে ফের ফেব্রুয়ারি মাসে হতে পারে রাজ্যের শতাধিক পুরসভার নির্বাচন। রাজ্য সরকার এই মুহূর্তে করোনাকালে একসঙ্গে সমস্ত পুরসভার নির্বাচন চাইছে না, তাই ধাপে ধাপে হবে পুরভোট। তাই ফেব্রুয়ারি মাসে মাধ্যমিক পরীক্ষা না করে মার্চে করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে। সমস্ত ব্যাপারেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নবান্ন। চলতি বছরে বিনা পরীক্ষাতে ও গতবছরে কিছু বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে মূল্যায়ণ হয় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের।
আগামী ১৬ তারিখ থেকেই খুলছে স্কুলের দরজা। যা নিয়েও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশ জারি করেছে শিক্ষা দফতর। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্কুলে অভিভাবকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, বাইরে নয় ক্লাসে বসেই টিফিন খেতে হবে। এক বেঞ্চে দু’জনের বেশি পড়ুয়া নয়, প্রার্থনা শুরুর আগে করোনা নিয়ে দশমিনিট সচেতনতা বার্তা দিতে হবে, শিক্ষক থেকে ছাত্র-ছাত্রী সবাইকে মাস্ক পরতেই হবে। খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।