নিজস্ব প্রতিনিধি: বিতর্ক বাড়ছে। বিক্ষোভও বাড়ছে। ধামাখালিতে রাজ্য পুলিশের(West Bengal State Police) কর্তব্যরত ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর স্পেশাল সুপারিনটেনডেন্ট(Special Superintendent Intelligence Bureau) জসপ্রীত সিংকে(Jaspreet Singh) উদ্দেশ্য করে ‘খালিস্তানি’ শব্দ ব্যাবহার করার ঘটনায় তোলপাড় চলছে বাংলায় তো বটেই দেশজুড়েও। সেই ঘটনায় গতকাল বিকাল থেকেই কলকাতা সহ দেশজুড়ে বিক্ষোভে নেমে পড়েছে শিখ সম্প্রদায়ের সামনে। সেই বিক্ষোভের অভিমুখ বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari), বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এবং বিজেপি(BJP)। কিন্তু এদিন অর্থাৎ বুধবার সেই বিক্ষোভের মুখ সরে গিয়েছে অগ্নিমিত্রার দিক থেকে। বিক্ষোভের মুখে আপাতত শুভেন্দু আর বিজেপি। কেননা এদিন একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তৃণমূলের(TMC) তরফে কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh) দাবি করেছেন, ওই অডিও ক্লিপটি জসপ্রীতের। একটি সংবাদমাধ্যম তাঁকে ফোন করেছিল। সেই কথোপকথনেই জসপ্রীত দাবি করেছেন, শুভেন্দুই তাঁকে খলিস্তানি বলেছেন।
শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য এখনও নিজের দাবিতে অনড়। তাঁর দাবি, তিনি এই মন্তব্য করেননি। কোনও ধর্মকে আঘাত দিয়ে বিজেপির তরফে কেউ কোনও মন্তব্য করেনি। কিন্তু তাতে বিক্ষোভ ও বিতর্ক কোনওটাই থামছে না। বরঞ্চ সময় যত গড়াচ্ছে ততই বিজেপি ও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বেড়েই চলেছে। গতকাল বিকালে বঙ্গ বিজেপির পুরাতন রাজ্য কার্যালয়ের সামনে এই ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শিখ ধর্মের মানুষেরা। এদিন সকাল থেকে সেই বিক্ষোভ আরও বড় আকার ধারণ করেছে। এই ঘটনা নিয়ে গতকালই মুখ খুলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার ভিডিও তুলে ধরে ট্যুইট করে তিনি লেখেন, ‘বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি নির্লজ্জভাবে সাংবিধানিক সীমা অতিক্রম করছে। ওদের কাছে পাগড়ি পরা প্রত্যেকেই খালিস্তানি। শিখ ভাইবোনদের সম্মান ক্ষুণ্ণ করার তীব্র নিন্দা করছি। বাংলায় সম্প্রীতি রক্ষায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তা ব্যাহত করার প্রচেষ্টা হলে, কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিন এই একই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান। তাঁর দাবি, অবিলম্বে বিজেপিকে আর শুভেন্দুকে পঞ্জাবিদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। নিজের ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলার একজন IPS আধিকারিককে BJP নেতারা দেশদ্রোহী বলে দাগিয়ে দিয়েছেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। হয়তো BJP জানে না, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে এবং স্বাধীন ভারতে পঞ্জাবিদের অবদান কতটা। এ ক্ষেত্রে পঞ্জাবিদের ভূমিকা সর্বাধিক বেশি।’ ভগবন্ত মানকে সমর্থন জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র। প্রাক্তন সাংসদ তাঁর পোস্টে কমেন্ট করে লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ সঠিক সময় সঠিক বক্তব্য রাখার জন্য। মোর পাওয়ার টু ইউ মাই ফ্রেন্ড।’