নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বেহালার বাড়ি ছেড়ে গোলপার্কের এক বহুতলে এসে ওঠেন শোভন চট্ট্যোপাধ্যায়। আর সেই থেকেই নিজের বেহালার বাড়িতে আর একবারের জন্যও পা রাখেননি কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। কিন্তু বাড়ির ‘নারায়াণ’ ছেড়ে চলে গেলেও ‘লক্ষ্মী’ বর্তমান, এমনটাই মনে করেছেন শোভন পত্নী রত্না চট্ট্যোপাধ্যায়। তাই ‘কোজাগরী পূর্ণিমায়’ ধনদেবীর আরাধনা করছেন রত্না চট্ট্যোপাধ্যায়। নিজের শ্বশুড়বাড়ির সকল সদস্যদের নিয়েই করছেন মা লক্ষ্মীর পুজো। এই বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘এই নতুন বাড়িতে আসার পর গত ২১ বছর ধরেই আমি লক্ষ্মীপুজোয় নিজের হাতে সব করে আসছি। আসলে আমিই তো এই বাড়ির মা লক্ষ্মী। শোভনবাবু আমাকে মা লক্ষ্মী করেই এই বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। আমি এই বাড়িতেই রয়ে গিয়েছি। আর শোভনবাবু এখান থেকে চলে গিয়েছেন। নারায়ণ তো চলে গিয়েছে কিন্তু মা লক্ষ্মী এই ঘরেই থেকে গিয়েছে।’
গত শুক্রবার দশমীর সন্ধ্যায় সকলের সামনেই নিজের বিশেষ বান্ধবী বৈশাখীকে সিঁদুর পরান কানন। বিবাহিত পুরুষ হয়েও অন্য এক বিবাহিত নারিকে সর্বসমক্ষে সিঁথিতে সিঁদুর দান নিয়ে হইচই হয়। কিন্তু তাতে আপাতত আমল দিচ্ছেন না রত্না চট্ট্যোপাধ্যায়। আইনি পথেই সেই বিষয়ের নিষ্পত্তি হবে দৃঢ় বিশ্বাস তাঁর। তবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে একচুল জায়গা ছাড়তে রাজি নন তা লক্ষ্মীপুজোর দিন বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। রত্না দেবী জানিয়েছেন, ‘নতুন করে কাউকে কিছু বলার নেই। আমিই চট্টোপাধ্যায় বাড়ির বউ। আমি শ্বশুরবাড়ির প্রত্যেককে নিয়ে পুজো করেছি। সবাই উপস্থিত হয়েছেন। ভগাবনকে বলব, যত দিন বেঁচে থাকব, তত দিন আমি যেন শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে নিয়েই এই বাড়িতে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করে যেতে পারি।’
যদিও এই বাড়ি আর শোভন বাবুর নামে নেই। কারণ রত্না দেবীর বিরুদ্ধে আইনি মামলা চালাতে টাকা-পয়সার অভাব থাকায় নিজের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে লিখে দেন শোভন চট্ট্যোপাধ্যায়। তাই বেহালার পর্ণশ্রীর বাড়ির মালিক এখন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে উচ্ছেদের জন্য খুব শীঘ্রই রত্না দেবীকে আইনি নোটিশ দেবেন বৈশাখী দেবী তা গত সপ্তাহেই জানিয়েছেন।