নিজস্ব প্রতিনিধি: মে মাসের মধ্যেই রাজ্যের ৫টি পুরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। একই সঙ্গে হাওড়া পুরনিগম(Howrah Municipal Corporation) থেকে বিচ্ছিন্ন করে নবগঠিত বালি পুরসভার(Bally Municipality) ওয়ার্ড সংরক্ষণ তালিকাও চূড়ান্ত হয়েছে। তাই এই ৬টি পুরসভার নির্বাচন একই সঙ্গে করানো যেতে পারে। রাজ্য সরকার কবে এই নির্বাচন চায় সেটা জানতে চেয়েই এবার নবান্নে(Nabanna) চিঠি পাঠাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন(State Election Commission)। মে মাসের মধ্যে রাজ্যের যে ৫টি পুরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে সেগুলি হল মিরিক(Mirik), কালিম্পং, রায়গঞ্জ, ডোমকল ও পূজালি। এই ৫টি পুরসভার সঙ্গেই কমিশন বালি পুরসভার নির্বাচন করিয়ে নিতে চাইছে। কিন্তু কবে সেই নির্বাচন হবে তা জানতেই রাজ্য সরকারকে চিঠি দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে এবারের এই তালিকাতেও নাম নেই হাওড়া পুরনিগমের। আর তাই কবে এই পুরনিগমে নির্বাচন হবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই গেল।
নিয়মানুসারে রাজ্যের পুরসভাগুলিতে নির্বাচন করানোর দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু তাঁরা একক ভাবে সেই দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারেন না। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই তাঁদের সেই নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে ভোটপর্ব ঘোষণা করতে হয়। তাই ৬টি পুরসভার ভোট কবে করানো যেতে পারে তা জানিতে চেয়েই রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠাচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে তাপপ্রবাহ চললে জুন মাসে ভোট কখনই সম্ভব নয়। তাই রাজ্য সরকারও এখুনই ওই ৬টি পুরসভার ভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে চাইছে না। মে মাস জুড়ে রাজ্যে আবহাওয়া কেমন থাকে তা দেখে নিয়েই মে মাসের শেষ দিকে রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সেক্ষেত্রে জুন মাসের শেষ দিকে বা জুলাই মাসের প্রথমদিকে এই ৬টি পুরসভার নির্বাচন হতে পারে। তবে হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচন নিয়ে জটিলতা থেকেই যাচ্ছে। কেননা রাজ্যপাল এখনও হাওড়া পুরনিগমের পুনর্গঠন বিলে তাঁর সম্মতি দেননি। যদিও কিছুদিন আগে হাওড়ায় দাঁড়িয়েই রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন দ্রুত হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচন হতে পারে। তাই মনে করা হচ্ছে প্রয়োজনে এই ৬টি পুরসভার নির্বাচনও আর কিছুদিন পিছিয়ে হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে করাতে পারে রাজ্য সরকার।
যে ৬টি পুরসভার নির্বাচন করানোর জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশন নবান্নে চিঠি পাঠিয়েছে তার মধ্যে ৩টি পুরসভাই তৃণমূলের দখলে। এই পুরসভাগুলি হল রায়গঞ্জ, ডোমকল ও পুজালি। মিরিকে ৫ বছর আগে হওয়া পুরনির্বাচনে তৃণমূলই জয়ী হয়েছিল। কিন্তু তারপরেই পাহাড়ে শুরু হ্যে যায় অশান্তি। যার জেরে নবগঠিত বোর্ড পদত্যাগ করে ও রাজ্য সরকার সেখানে প্রশাসক বসায়। কালিম্পংয়েও এখন পুরসভা চালাচ্ছেন প্রশাসক। হাওড়া পুরনিগম থেকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা পুরসভা হিসাবে বালিকে গড়ে তোলায় সেখানেও এখন কোনও পুরবোর্ড ক্ষমতায় নেই। প্রশাসকই সেখানে নিত্যদিনের পুরপরিষবার দেখভাল করছেন। রাজ্যে এখন যা রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাতে পাহাড়ের ২টি পুরসভা বাদ দিয়ে সব পুরসভাতেই শাসক দল তৃণমূলের জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। তবে পাহাড়ে কী হয় সেদিকে তাকিয়ে থাকবেন সকলেই। বিশেষ করে মিরিকে আবারও তৃণমূল জয়ী হয় কিনা সেদিকে সকলে তাকিয়ে থাকবেন। হাওড়াতেও বিগত নির্বাচনে তৃণমূলই জয়ী হয়েছিল। এবারেও ভোট যখনই হোক না কেন তৃণমূলের জয়ের সম্ভাবনাই কার্যত উজ্জ্বল।