নিজস্ব প্রতিনিধি: আদালতে ধাক্কা খেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আবেদন নাকচ করে দিলেন বিচারক। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের করা একটি মানহানি মামলায় তাঁকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর শুভেন্দুর হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
শুভেন্দু অধিকারীর তরফে তাঁর আইনজীবীরা আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতাকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হোক। কিন্তু বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক শুভেন্দুর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ, শুভেন্দু অধিকারীকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর বিরোধী দলনেতাকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে ‘বাবার ত্যাজ্যপুত্র’ বলে মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা করেন কুণাল ঘোষ। ব্যাঙ্কশাল আদালতে এই মামলাটির শুনানি চলছিল। আদালতে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীরা বলেন, ‘যেহেতু ওঁর বাড়ি কাঁথি। এবং তা কলকাতা থেকে বহুদূর। তাই সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ মেনে ওকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে ছাড় দেওয়া হোক।’ এরপর এই যুক্তির পাল্টা যুক্তি দেন কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। তিনি আদালতে বলেন, ‘ওঁর পিটিশনে লেখা উনি বিরোধী দলনেতা, বিধানসভায় বসেন, রাজনীতির জন্য সারা বাংলা ঘোরেন। তাহলে বিরোধী দলনেতার অফিস তো আদালত থেকে তিনশো মিটার দূরে। ওখানে এলে কোর্টে আসবেন না কেন? কোর্টকে গুরুত্ব না দেওয়ার এই প্রবণতা ঠিক নয়।’ উভয় পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর আদালত শুভেন্দু অধিকারীকে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।