নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপির নবান্ন অভিযানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ‘টাচ’ করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল ‘লেডি’ পুলিশ ক্রিস্টিনা মেরির বিরুদ্ধে। কিন্তু মঙ্গলবার সেই ঘটনার পর বুধবার সকাল থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে কার্যত আড়ালেই রয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে সাঁতরাগাছি যাওয়ার পথে আটকে দেয় কলকাতা পুলিশ। কলকাতা রেসকোর্সের কাছে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের সামনে শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করেছিল পুলিশ। নন্দীগ্রামের বিধায়ক রাস্তায় ব্যরিকেড ভাঙার চেষ্টা করছিলেন যখন সেই সময় কর্তব্যরত এক মহিলা পুলিশ আধিকারিক শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা দেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় শুভেন্দু অধিকারী আচমকা চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমার গায়ে হাত দেবেন না। গায়ে হাত দিচ্ছেন কেন?’ এরপর পুলিশকর্তাদের ডাকতে বলেন শুভেন্দু অধিকারী। ডিসি সাউথ আকাশ মেঘারিয়া অকুস্থলে পৌঁছন। তাঁকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু বলেন, ‘আপনার লেডি পুলিশ আমার গায়ে হাত দিচ্ছেন কেন?’ এর পাল্টা মেঘারিয়া বলেন, ‘পুলিশ তো পুলিশই! তার আবার মহিলা-পুরুষ কী!’ ওই মন্তব্যের পর শুভেন্দু অধিকারী বলতে থাকেন, ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি! আই অ্যাম মেল! জেন্টস পুলিশ ডাকুন।’
উল্লেখ্য মঙ্গলবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্যের পর তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়ে যায়। ওই ঘটনা নিয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘মহিলা পুলিশকর্মীদের দিয়ে যে ভাবে বিরোধী দলনেতাকে হেনস্থা করা হয়েছে, তা নজিরবিহীন।’ অন্যদিকে শুভেন্দুর ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’ সংলাপ নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন জোড়াফুল শিবিরের নেতা কুণাল ঘোষও। অন্যদিকে ক্রিস্টিনা মেরির সতীর্থরা তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, ক্রিস্টিনা মেরি শুভেন্দুকে স্পর্শ করে কোনও অন্যায় করেনি।