এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কথা বলুন বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে, দিল্লির নির্দেশ বঙ্গ বিজেপিকে

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন(General Election 2024)। তার আগে একাধিক বিক্ষুব্ধ নেতার দলবদলের আশঙ্কায় কাঁটা বঙ্গ বিজেপি(Bengal BJP)। বিজেপির অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নেই বিষয়টির আঁচ পাওয়া গিয়েছে। আর এই দলবদলের জল্পনায় কার্যত হৃদকম্পন শুরু হয়েছে বাংলার গেরুয়া শিবিরে। ‘দলের মধ্যে ‘বেসুরো’ দেখলেই সতর্ক হন’, পরিস্থিতির গুরুত্ব আঁচ করে বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের এমনই ‘গোপন’ নির্দেশ পাঠিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপির শীর্ষ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। এরফলে বিজেপির অন্দরে ইতিমধ্যেই সংশয় তৈরি হয়েছে যে, লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় আসনপ্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা অনেক পরের কথা। ভোটে লড়ার জন্য আদৌ কর্মী পাওয়া যাবে তো? যদিও দলবদলের এই আশঙ্কা নিয়ে বিজেপির কোনও নেতাই মন্তব্য করতে চাননি।  

বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের দল ছাড়ার প্রসঙ্গে এখন বঙ্গ বিজেপির একাংশ ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছে যে, বেসুরো নেতাকর্মীদের প্রতি দল বিশেষ নজর রাখবে ঠিকই। কিন্তু জোর করে কাউকেই দলে ধরে রাখা হবে না। যদিও জানা গিয়েছে, বঙ্গ বিজেপি কিছুটা বেকায়দায় পড়েই বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে চাইছে। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে চাইছে। যদিও তাতে চিঁড়ে ভিজবে কিনা সন্দেহ। বাংলার জেলায় জেলায় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দলের একাংশের ক্ষোভ এবং সেইসূত্রে বিভিন্ন সময় উষ্মার খবর ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার(J P Nadda) কাছে। তিনি সেইমতো পদক্ষেপ গ্রহণেরও নির্দেশও দিয়েছেন। কিন্তু তা কতখানি করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। একই সঙ্গে মোটামুটি সাফ হয়ে গিয়েছে যে, উনিশের ভোটে বাংলা থেকে যারা বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তাঁদের সবাইকে এবার টিকিট নাও দেওয়া হতে পারে।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় মোট ১৮টি আসনে জয় পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বর্তমানে লোকসভায় বাংলা থেকে তাদের দলীয় সাংসদ সংখ্যা ১৬ জন। কারণ ইতিপূর্বেই দু’জন দলত্যাগ করেছেন। অর্জুন সিং এবং বাবুল সুপ্রিয়। অর্জন অবশ্য এখনও খাতায়কলমে বিজেপি সাংসদ হিসাবেই আছেন। আবার বাবুলের আসনে উপনির্বাচন হয়েছে, সেখানে জিতেছে তৃণমূল। আবার তৃণমূলের দুই সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ও শিশির অধিকারী এখন গেরুয়া ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিতি পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু ২৪’র ভোটে বাকি ১৬জনের টিকিট নাও জুটতে পারে। সূত্রে জানা গিয়েছে দিব্যেন্দু টিকিট পেতে পারেন তমলুক থেকেই। কাঁথি থেকে শিশিরের ছোট ছেলে সৌমেন্দু টিকিট পেতে পারেন।

বাকিদের মধ্যে ৪ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ক্ষেত্রে নিশীথ প্রামাণিক(Nishith Pramanik) ও শান্তনু ঠাকুরের(Shantanu Thakur) টিকিট প্রায় নিশ্চিত। তবে জন বার্লা ও সুভাষ সরকার সম্ভবত টিকিট পাচ্ছেন না। পেলেও তাঁদের আসন পরিবর্তিত হবে। লকেট চট্টোপাধ্যায় হুগলি থেকেই লড়বেন। জগন্নাথ সরকারের ভাগ্যে টিকিট নাও জুটতে পারে। সেই জায়গায় টিকিট পেতে পারেন হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। সৌমিত্র খাঁয়ের আসন বদল হতে পারে। টিকিট সম্ভবত পাবেন না এস এস আলুওয়ালিয়া। সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাট থেকেই ফের প্রার্থী হবেন। দেবশ্রী চৌধুরীও রায়গঞ্জ থেকেই প্রার্থী হচ্ছেন। রাজু বিস্তার জায়গায় দার্জিলিংয়ে নতুন মুখ আনতে পারে বিজেপি। দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুর থেকেই সম্ভবত ফের প্রার্থী হচ্ছেন। ঝাড়গ্রাম ও মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রেও প্রার্থী বদলাবে বিজেপি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গে এবং রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড় – বৃষ্টি শুরু হবে

সুবীরেশ-কল্যাণময়কে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল, তথ্য পেশ তাঁদের আইনজীবীর

চাকরি বাতিলের জেরে একাধিক  স্কুলে বন্ধের মুখে বিজ্ঞান বিভাগ

একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে কত নম্বর লাগবে? জানিয়ে দিল পর্ষদ

‘দলের সবথেকে বেশি ক্ষতি করেছে’, কুণালকে তোপ জেলবন্দি পার্থর

শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপালকে খোঁচা শশী পাঁজার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর