এই মুহূর্তে




বঙ্গ বিজেপির সভাপতির দৌড়ে শুভেন্দু-দিলীপ, অনুগামীরা মেতেছে তরজায়

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গ বিজেপিতে(Bengal BJP) গোষ্ঠীকোন্দলের কথা কারও অজানা নয়। বার বার সেই কোন্দল নানা ভাবে সামনে চলে এসেছে। এবার চব্বিশের লোকসভা ভোটের(Loksabha Election 2024) পরে আবারও সামনে চলে এল সেই কোন্দল। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar) কেন্দ্রের মন্ত্রী হয়েছেন। বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এক ব্যক্তি দুই পদে থাকতে পারেন না। আর তাই সুকান্তকে খুব শীঘ্রই বঙ্গ বিজেপির সভাপতির পদ থেকে হয়তো পদত্যাগ করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, সুকান্তের পদে আগামী দিনে কে বসতে চলেছেন। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে বেশ কিছু নাম ঘোরফেরা করছে। সেই সব নামের মধ্যে আছে শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari), দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh), শমীক ভট্টাচার্য প্রমুখদের নাম। আর সেই নাম ঘোরার মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়াতে শুভেন্দু ও দিলীপের অনুগামীদের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে একে অপরের প্রতি আক্রমণ।

দেখা যাচ্ছে ফেসবুকে যুদ্ধ শুরু করেছেন দুই নেতার অনুগামীরা। তার জন্য নতুন করে তৈরি হয়েছে দুটি ‘পেজ’। একটির নাম ‘দিলীপদার অনুগামী’, অন্যটির নাম ‘শুভেন্দুদার অনুগামী।’ যুদ্ধের এমনই রমরমা যে, ‘শুভেন্দুদার অনুগামী’ পেজে লেখা হয়েছে, ‘মহাবীর দিলীপ ঘোষের রেকর্ডটাও একটু জেনে রাখা দরকার। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েতে মাত্র ৫ হাজার সদস্য জেতাতে পেরেছিলেন দিলীপবাবু। ২০২৩-এ ভয়াবহ সন্ত্রাসের পরেও ১১ হাজার পঞ্চায়েত সদস্য আছে বিজেপির। যদিও গোপীবল্লভপুরে নিজের বুথে হেরেছেন দিলুদা।’ সেখানে আরও লেখা হয়েছে, ‘২০১৯- এ বিজেপি ১৮টি সাংসদ জেতার পরে তিনটি আসনে উপনির্বাচন হয়েছিল। তার মধ্যে দিলীপবাবুর ছেড়ে যাওয়া খড়্গপুর সদরও ছিল। তিনটি আসনেই হেরেছিল বিজেপি। দিলুদা নিজের আসনও ধরে রাখতে পারেননি।’ পক্ষান্তরে, দিলীপের অনুগামীরা লিখেছেন, ‘দিলীপদা আর সুকান্তদার দিকে যে দালাল, চিটিংবাজগুলো আঙুল তুলছে, সেই সব তথাকথিত অনুগামীদের কয়েকটা বিষয় মনে করিয়ে দিই— দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারকে কোনও দিন ক্যামেরায় কাগজ মুড়িয়ে টাকা নিতে দেখেছেন? তবে কিছু ছোটলোক, চোর-জোচ্চোরদের দেখা গেছিল।’ এই ভাবে এক, দুই, তিন করে মোট ১৪টি ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।  

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘এই সব পেজের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। এগুলো পরিকল্পিত ভাবে তৃণমূল করছে।’ যদিও তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘বিজেপির উচিত দমকলকে সময়ে সময়ে খবর দেওয়া! নইলে বড় বিপদ হয়ে যাবে।’ তবে ওই দুই ফেসবুক পেজের বাইরেও বিভিন্ন গ্রুপে তরজা জারি রয়েছে। দিলীপ অনুগামীদের যুক্তি, শুভেন্দুর কথায় কেন্দ্র বদল করেই এই বিপর্যয়ের মুখে দলকে পড়তে হয়েছে। জেতা আসনে প্রার্থী করলে দিলীপদের হারতে হত না। পাল্টা শুভেন্দু শিবিরের যুক্তি – লকেট চট্টোপাধ্যায়, নিশীথ প্রামাণিক, সুভাষ সরকারদের তো নিজেদের আসনেই প্রার্থী করা হয়েছিল। তা হলে তাঁরা হারলেন কেন? তাঁদের এ-ও বক্তব্য, দিলীপ সব সময় ‘আদি’ বিজেপিকে মহিমান্বিত করেন। তাঁর কেন্দ্রে গিয়ে তো আদি বিজেপির সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়েরা পড়েছিলেন। তা হলে এক লক্ষের বেশি ভোটে কেন হারলেন দিলীপ? ওই আসন তো গত বার বিজেপির জেতা ছিল।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

 আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত কত দিনে শেষ হবে? সদুত্তর দিতে পারল না সিবিআই

আরজি করে ‘গণধর্ষণ’ হয়নি, হাইকোর্টে ফের জানাল CBI

ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট কাণ্ডে নয়া মোড়, শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিল নবান্ন

তৃণমূলের শিক্ষক নেতার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার ডিভিশন বেঞ্চের

উপাচার্যের পদ থেকে অপসারণ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরানো হল ভাস্কর গুপ্তকে

খাদিম-কর্তা অপহরণ মামলায় বেকসুর খালাস আখতার হোসেন

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর