নিজস্ব প্রতিনিধি: নজীরবিহীন ঘটনা বললেও কমই বলা হয়। বিধাননগর পুরনিগমের নির্বাচনের দিন বিজেপির সন্ত্রাস কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তার সাক্ষাৎ নমুনা মিললো শহরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথে। সেখানে তৃণমূল প্রার্থীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে ওই ওয়ার্ডেরই বিজেপির মহিলা প্রার্থীর বিরুদ্ধে। চরম ন্যাক্কারজনক এই ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ঘটনার জেরে ওই বুথের রিটার্নিং অফিসারকে রিপোর্ট পাঠাবার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ঘটনার জেরে তৃণমূলের তরফে অবিলম্বে বিজেপির ওই প্রার্থীকে গ্রেফতার করার দাবি তোলা হয়েছে। তাঁর প্রার্থীপদ খারিজেরও দাবি উঠেছে। কমিশন এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেও তৃণমূলের দাবি নিয়ে মুখ খোলেনি।
শনিবার সকাল ৭টা থেকে বিধাননগর পুরনিগমে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণের পালা। বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে সেই প্রক্রিয়া। তবে কোভিডেয়া আক্রান্ত ভোটাররা তারপরে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন। এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত বিধাননগরে ১৪ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে কমিশন জানিয়েছে। সেই ভোটে এদিন সকাল থেকেই ভুয়ো ভোটারের ভোটদানের ঘটনা ঘিরে একের পর এক অভিযোগ উঠতে শুরু করে দিয়েছে। তৃণমূল ও বিজেপি পরস্পরের দিকে এই অভিযোগ তুলছে। তার মধ্যেই ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভুয়ো ভোটার ধরতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীর হাতে মার খেলে তৃণমূল প্রার্থী মিনু দাস চক্রবর্তী। অভিযোগ উঠেছে বিজেপি প্রার্থী তাঁর শ্লীলতাহানিও করে। নানা সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় সেই ঘটনা ধরাও পড়েছে। ঘটনার জেরে অবশ্য দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে যার জন্য বড় ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন অবশ্য এই ঘটনার জেরে নড়েচড়ে বসেছে। কীভাবে বুথের মধ্যে একজন মহিলা প্রার্থীকে হেনস্থা, মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হল সেই নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন তাঁরা।