নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গের মাটিতে গত বিধানসভা ভোটে থেকে অতি সক্রিয় ‘বিশ্বাসযোগ্য হারানো’ দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআই। রবিবার ব্রিগেডের সভা থেকে কেন্দ্রের শাসকদলের তল্পিবাহক দুই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে খোঁচা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যঙ্গের সুরে তিনি বলেন, ‘বিজেপির হাতে ইডি-সিবিআই রয়েছে। বিচার ব্যবস্থার একাংশ রয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে ভোট সাধারণ মানুষ দেবে। ইডি-সিবিআই দেবে না।’
এদিন ব্রিগেডের জন গর্জন সভা থেকেই কার্যত লোকসভার ভোটের প্রচার শুরু করে দিল শাসকদল। আর উপচে পড়া জনসভায় প্রথম থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে চড়া সুরে আক্রমণ শুরু করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। খানিকটা কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘আগে চোরেরা চুরি করে জেলে যেত। আর এখন চোরেরা বিজেপিতে যায়। তাদের কাউকে বিরোধী দলনেতার পদে বসানো হয়। কাউকে বিধায়ক থেকে সাংসদ করা হয়। গত লোকসভা ভোটের পর থেকেই বাংলাকে নিশানা করে ঝাঁপানো হয়েছে। ইডি-সিবিআইকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে লাভ হবে না। কেননা, দিল্লির কাছে কোনও কারণে আত্মসমর্পণ করবে না তৃণমুল। বরং বুক চিতিয়ে লড়বে।’
একশো দিনের কাজের বকেয়া ও আবাস যোজনায় গরিব মানুষের প্রাপ্য আটকে রাখার প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ঠুকেছেন তৃণমূলের সেনাপতি। তাঁর কথায়, ‘বিজেপি বাংলা বিরোধী। তাই গরিব মানুষদের ভাতে মারার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রাপ্য টাকা আটকে রেখে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার প্রতিশোধ তুলছে।’ লোকসভা ভোটের আগেই বঙ্গে বার বার এসে মোদি গ্যারান্টির কথা বলে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে প্রসঙ্গ তুলেও প্রতিপক্ষ শিবিরকে খোঁচা দিয়েছেন অভিষেক। ব্যঙ্গের সুরে তিনি বলেন, ‘মোদির গ্যারান্টি মানে জিরো গ্যারান্টি।’ তৃণমূল কংগ্রেস কথা দিলে যে কথা রাখে তা দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেসের সেনাটপতি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিলে কথা রাখেন। তাই ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা দিতে শুরু করেছে রাজ্য। আবাস যোজনায় ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার পরিবারকেও টাকা দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, কর্মশ্রী, সবুজসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছেন।’ আগামী লোকসভা ভোটে কোন স্লোগানকে সামনে রেখে লড়বেন ঘাসফুল শিবিরের কর্মীরা, তাও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক।