নিজস্ব প্রতিনিধি: ১০০ দিনের কাজের টাকা(100 Days Work Project Wages), আবাস যোজনার(PMGAY) টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার। সেই টাকা আদায়ের লক্ষ্যে পুজোর আগেই দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচী চালিয়ে এসেছে বাংলার(Bengal) শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের কোনও দাবিদাওয়া মেনে নেয়নি কেন্দ্র সরকার। আর তাই দিল্লিতে যেমন ফের ধর্না কর্মসূচীর পরিকল্পনা নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, ঠিক তেমনি বাংলার মাটিতেও কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে নিয়ে যেতে চাইছে জোড়াফুল শিবির। সেই সূত্রেই ঠিক করা হয়েছে রাজ্যজুড়ে জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে, শহরে শহরে দলের তরফে যে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হবে সেই মঞ্চকেই কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনের হাতিয়ার করে তোলা হবে।
রাজ্যের শাসক দলের তরফে ফি-বছর ঘটা করে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন হয় ব্লক, বিধানসভা বা জেলাস্তরে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই এবার বাংলার প্রতি কেন্দ্রের ধারাবাহিক আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে সোচ্চার হবে তৃণমূল। সেই সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের সংগঠন ও জনসংযোগ ঝালিয়ে নেওয়ার কাজও সারবে তারা। আগামী নভেম্বর মাসের ১ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে এই বিজয়া সম্মিলনী চলবে। সেখানে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলাই মূল লক্ষ্য হিসাবে নেওয়া হচ্ছে। তিনটি পর্যায়ে এই কর্মসূচি পালন করার নির্দেশ দিয়েছেচন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজয়া সম্মিলনীগুলিতে হাজির থাকবেন সংশ্লিষ্ট বিধানসভার বিধায়ক। ব্লকের ক্ষেত্রে থাকবেন ব্লক ও অঞ্চল সভাপতিরা। শহরের ক্ষেত্রে টাউন সভাপতি ও ওয়ার্ড সভাপতি নেতৃত্ব দেবেন। প্রতি অঞ্চল থেকে কমপক্ষে ৫জন বর্ষীয়ান ও একনিষ্ঠ দলীয় কর্মীকে সম্মান জ্ঞাপন করা হবে। শহরের ক্ষেত্রে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে ৫জন করে নেতাকর্মীকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
একই সঙ্গে দলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই সময়েই প্রত্যেক অঞ্চল সভাপতি, ওয়ার্ড সভাপতি্রা নিজ নিজ এলাকার জনবহুল স্থানে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সভা করবেন। ১০০ দিনের কাজের প্রাপ্য পেতে তৃণমূলের লাগাতার লড়াইয়ের বিবরণী সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে এই সভায়। এসব ইস্যুতে প্রেস কনফারেন্সও করবে স্থানীয় নেতৃত্ব। বিজয়া সম্মিলনীতে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা তুলে ধরার পাশাপাশি সাংগঠনিক অবস্থাও ঝালিয়ে নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ধারাবাহিক আন্দোলন চলছে। পুজোর সময় সাময়িক বিরতি পড়েছিল তাতে। পুজো মিটতেই আবার জোড়াফুল কার্যত পথে নামছে।