এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের শর্ত লঙ্ঘন করছে বাংলা, তাই বন্ধ টাকা

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের(Bengal) ৪৭৪টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৬৫টি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ২৮টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির জন্য একাধিক কিস্তিতে টাকা দেওয়ার কথা কেন্দ্রের। যদিও অভিযোগ উঠেছে যে, চলতি অর্থবর্ষে প্রাপ্য বকেয়া এখনও পাঠায়নি কেন্দ্র। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের(15th Finance Commission) টাকায় রাজ্যে ৪৭৪টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র(Suswastha Kendra), ৬৫টি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র(Block Health Center) এবং ২৮টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র(Primary Health Center) তৈরির কাজ চলছে। নবান্ন সূত্রে দাবি, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই খাতে ৮২৮ কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, এখনও অবধি ৭২৪ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। এই টাকা যাতে আটকে না রাখা হয় তার জন্য গত ৩০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi) চিঠি দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই চিঠির উত্তর দিতে চলেছে কেন্দ্র। তবে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে সেই উত্তর আসবে না। চিঠি আসবে না মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়েও। চিঠি পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে। সেই চিঠিতেই তাঁরা জানিয়ে দিচ্ছে, রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের(Rashtriya Swastha Mission) ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের শর্ত লঙ্ঘন করছে বাংলা। তাই টাকা আটকানো হয়েছে।

কিন্তু কেন মেলেনি কেন্দ্রীয় বরাদ্দ? জানা গিয়েছে, টাকা পাঠাবার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রকল্পের নাম এবং সুস্বাস্থ্য ভবনের রং। কেন্দ্রের শর্তাবলীতে বলা হয়েছে, প্রকল্পের নাম অনুযায়ী ওই সব সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের নাম রাখতে হবে Health and Wellness Center। সেই সঙ্গে ভবনের বাইরে লিখতে হবে, আয়ুষ্মান মন্দির। কেন্দ্রের দাবি, সেই শর্ত না মেনে রাজ্যে এই প্রকল্প হয়ে গিয়েছে সুস্বাস্থ্য প্রকল্প। সেই সঙ্গে বাড়ির রঙ রাখতে হতো Metallic Yellow। সেই সঙ্গে খয়েরি রঙের বর্ডার। কিন্তু রাজ্যের সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে রাঙানো হয়েছে নীল-সাদা রঙে, আর এই নিয়েই বেধেছে গোল। রবিবার রীতিমত বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, শর্ত না মানায় টাকাও নয়। একটি প্রেস বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে – সংবাদমাধ্যম মারফত তারা জেনেছে, বাংলা নাকি রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার। এই অভিযোগ ঠিক নয়। বরং সত্যিটা হলো, এই প্রকল্প রূপায়ণে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে বিভিন্ন শর্তের যে সমঝোতাপত্র সই হয়েছিল, তার মধ্যে ব্র্যান্ডিং গাইডলাইন সংক্রান্ত বেশ কিছু শর্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকার মানেনি। তাই টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে।

বাড়ির রং হওয়ার কথা ছিল হলুদ, কিন্তু হয়েছে নীল-সাদা। বাড়িগুলিতে বাংলায় ‘আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির’ এবং ইংরেজিতে ‘Ayushman Bharat Health and Wellness Centre’ লেখার কথা থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে এই Urban Health Centreগুলির নাম বাংলায় ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ ও ইংরেজিতে Health and Wellness Center লেখা হয়েছে। মন্ত্রকের বক্তব্য, যে সব রাজ্য এই সব শর্ত অক্ষরে অক্ষরে মেনেছে, তাদের কারও টাকা কেন্দ্র আটকায়নি। কিন্তু বাংলা-সহ কিছু রাজ্য অন্য পথে হেঁটেছে বলেই তাদের বকেয়া মেটানো হয়নি। রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য মিশন গাইডলাইনের ১০ নম্বর ধারার ৩ নম্বর উপধারা মেনে টাকা আটকানো ছাড়া কেন্দ্রের উপায় ছিল না বলেও জানিয়েছে মন্ত্রক।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তৃণমূলের নিস্ক্রিয় কর্মীদের সক্রিয় করতে উদ্যোগী সুব্রত বক্সী

১৫ মে’ র পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা কমবে, বাড়বে অস্বস্তিকর গরম

‘মুসলিমদের এতো নিচু করার কোনও কারণ নেই’, সংখ্যালঘুদের পাশে মমতা

শ্লীলতাহানি  কাণ্ডে রাজভবনের আরও ৪ কর্মীকে তলব লালবাজারের

‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি রাজভবনের লাটুসাহেব’, আবারও বোসকে নিশানা মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর