নিজস্ব প্রতিনিধি: বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়ের প্রয়াণের পর খালি হয়েছে বালিগঞ্জ। সেখানে নিয়ম অনুযায়ী উপনির্বাচন হবে। স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে এই শূন্য আসনে কাকে প্রার্থী করবেন তৃণমূল নেত্রী। যদিও এই মুহূর্তে তৃণমূলের কোনও শীর্ষ নেতাই এই বিষয়ে ভাবছেন না। তবুও দলের নীচু স্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। সুব্রতবাবু ২০১১ সাল থেকে বালিগঞ্জের বিধায়ক। তাঁর মৃত্যুর পর কাকে ওই আসনে প্রার্থী করতে পারে সেটাই এখন বঙ্গ রাজনীতির আলোচনার বিষয়। বেশ কয়েকটি নাম ইতিমধ্যেই ভেসে এসেছে তৃণমূলের অন্দর থেকে। প্রথম নামটি বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়।
তিনি সদ্য সমাপ্ত ভবাণীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের চিফ ইলেকশন এজেন্টের দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছেন। ফলে সুব্রতবাবুর জায়গায় তাঁকেই টিকিট দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন কানাঘুঁষো শোনা যাচ্ছে রাজনীতির আঙিনায়। অপরদিকে সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্য়ায়ের নামও শোনা যাচ্ছে কোনও কোনও মহলে। ২০১০ সালে তিনি কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন ৮৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। উল্লেখ্য ওই ওয়ার্ড থেকেই জিতে কাউন্সিলর হয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্য়ায় এবং কলকাতার মেয়র হয়েছিলেন। যদিও তাঁর বোন তনিমা চট্টোপাধ্য়ায় ২০১০ সালের পুর নির্বাচনে হেরে যান বিজেপি প্রার্থী সুব্রত ঘোষের কাছে।
এবারও সুব্রতবাবুর জায়গায় তাঁর বোনের নাম উঠে আসছে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে। অপরদিকে রাজনৈতিক মহলের একটি অংশ মনে করছেন, সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়ের ফাঁকা আসনে বাবুল সুপ্রিয়কে টিকিট দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কারণ এর আগেই মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাবুলকে বড় দায়িত্ব দেওয়া হবে। সরাসরি বিজেপি ছেড়ে আসা বাবুল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। এবার তাঁকে রাজ্য মন্ত্রীসভায় আনা হতে পারে। সেক্ষেত্রে বালিগঞ্জে তাঁকেই টিকিট দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও সবটাই নির্ভর করছে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সিদ্ধান্তের উপর। তবুও জল্পনা চলছে।