নিজস্ব প্রতিনিধি: মন্দিরে গিয়ে ধুমধাম করে বিয়ে করেছিলেন। এরপর বউয়ের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছিলেন এক যুবক। আর তার জন্য যেতে হল জেলে। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার মানিকতলায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
২২ বছর বয়সী ধৃত যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাবালিকা এক মেয়েকে বিয়ে করেছেন। নবম শ্রেণিতে পাঠরত এক ছাত্রীকে নিয়ে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন ওই যুবক। বিয়ের পর নববধূ হিসেবে ওই কিশোরীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি। বিয়ের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে বউয়ের সঙ্গে ছবি তুলে আপলোড করেছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেই ছবি নজরে পড়ে যায় এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থর। মঙ্গলবার তারাই এই বিষয়টি নিয়ে তৎপরতা শুরু করে। নাবালিকাকে বিয়ে করার অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই সংস্থার কর্মীরা। এরপর ১৬ বছরের কিশোরীকে বিয়ে করার অপরাধে শিশু বিবাহ আইনে পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করে। আপাতত হাজতে রয়েছেন তিনি। পাশাপাশি কিশোরীকে পাঠানো হয়েছে হোমে। যে পুরোহিত তাদের বিয়ে দিয়েছিল তার ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম সঞ্জয় দে। কলকাতার মানিকতলা রোডের বাসিন্দা তিনি। ২২ বছর বয়সী সঞ্জয় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। কলকাতার গিরিশ পার্ক এলাকার যোগেন দত্ত লেনের এক কিশোরী ছাত্রীর সঙ্গে সঞ্জয়ের আলাপ হয়। সেই আলাপ গড়ায় প্রণয়ের সম্পর্কে। দুজনেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বিয়ের পর সামাজিক মাধ্যমে ছবি দেওয়ায় ঘটে যায় বিপত্তি। অন্যদিকে সঞ্জয়ের মা এই ঘটনা নিয়ে জানান, ‘এখনই তাঁর ছেলের বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল না। ওই কিশোরীই বিয়ের জন্য চাপ দেয়। রবিবার একটি মন্দিরে গিয়ে দু’জন বিয়ে করে।’ কিশোরী ছাত্রীর মা এই বিয়ে নিয়ে নিয়ে জানান, ‘তিনি দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে কিছুই জানতেন না। বিয়ের পর শুধু মেয়ে তার বাবাকে বিষয়টি জানান।’