নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সমাজ বদলাচ্ছে একটু একটু করে। আর তাই বিয়ের নিয়মেও আসছে আমূল পরিবর্তন। ধীরে ধীরে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে বিয়ের রীতি থেকে কন্যাদান, কনকাঞ্জলীর মত নিয়ম। শুধুই কনে নন এর পাশাপাশি বাড়ির অভিভাবকরাও যে এই রীতি বর্জন করতে চাইছেন তা একেবারেই স্পষ্ট। কয়েকদিন আগেই মেয়ের বিয়ের কার্ডে ‘কন্যা দানের সামগ্রী নয়’ লিখে বিপাকে পড়েছিলেন এক বাবা। কিন্তু এতেই পরিস্ফুট হচ্ছে যে সমাজ বদলাচ্ছে। এবার ভাতকাপড়ের চেনা ছবি পাল্টে দিলেন সিউড়ির এক পরিবার। সিউড়ি ইন্দিরাপল্লীর বাসিন্দা অর্কপ্রভ সিংহের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন অর্চিতা সিনহা। শুধুই ভাতকাপড়ের নিয়মই নয় এর পাশাপাশি কন্যাদানের মত নিয়মকেও বিয়ের রীতি থেকে বাদ দিয়েছিলেন দুই পরিবারই। তাঁদের মত কন্যা দানের বস্তু নয়, সে মানুষ।
বিয়ের পরের দিন সকালে ভাতকাপড়ের অনুষ্ঠানে ‘আজ থেকে আমি তোমার ভাত কাপড়ের দায়িত্ব নিলাম’ বলানোর পরিবর্তে নববধূ ও ছেলে দুজনের হাতেই প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দিয়ে উভয়কেই সমান দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেন ছেলের মা। সঙ্গে ছিলেন ছেলের বাবা ও ৮২ বছরের ঠাকুমা গীতারানি সিংহ।
২১ নভেম্বর পরিণয় সূত্রে বাঁধা পড়েন অর্কপ্রভ-অর্চিতা। শাশুড়ি মাকে বলতে শোনা যায় ‘আজকালের মেয়েরা ঘর এবং বাইরে দুই সামলায়। একজন আজীবন একজনের দায়িত্ব নেয় না সম্পর্কে। ছেলেটির অফিস যাওয়া, তাঁর সমস্ত জিনিস গুছিয়ে রাখা তাঁকে রেঁধে খাওয়ানো এসব কিছুর দায়িত্ব স্ত্রী নেন। তাই আমরা পরিবারের সকলে আলচনার মাধ্যমে স্থির করেছি এই নিয়ম আমরা পালন করব না গতানুগতিক ভাবে।’ পুত্র ও পুত্রবধূ এদিন দুজনের হাতে খাবার থালা তুলে দিয়ে উভয়ে উভয়ের দায়িত্ব নেন। স্বমীর হাতে অর্চিতা তুলে দেন স্টেথোস্কোপ। শুধু তাই নয় এভাবেই সমাজের এই নিয়ম এভাবেই বদলানো দরকার বলেন অর্কপ্রভর মা। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁদের ভিডিয়োটি। ইতিমধ্যেই ভাইরাল সেই ভিডিয়ো।