নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পুজোর পাঁচটা দিন ভিড়ের থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই দিনের বেলা ফাঁকায় ফাঁকায় ঠাকুর দেখেছেন। আর এটা করতে গিয়েই রোদে ঘুরে ফর্সা ত্বক পুড়ে তামাটে হয়ে গেছে। পুজো শেষে ত্বকের উজ্জ্বলতা কি করে ফিরে পাবেন সেটাই ভাবছেন তো? তাহলে আজকে আপনাদের জন্য রইল ঘরোয়া পদ্ধতিতে (home made) ট্যান রিমুভের(tan remove pack) কিছু সহজ পদ্ধতি।
লেবুর রস আর মধুর প্যাক: পাতিলেবুর রস আর মধু এমন পরিমাণে মেশান যাতে বেশ গাঢ় মিশ্রণ তৈরি হয়। মুখে, হাতে-পায়ে এই প্যাক লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রাখুন। তার পর ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণে খানিকটা চিনি মিশিয়ে নিলে স্ক্রাবিংয়ের কাজটাও হয়ে যাবে।
দই আর টোম্যাটোর প্যাক: টোম্যাটো আর দইয়ের প্যাক ত্বকের জন্য খুব উপকারী। টোম্যাটোর অ্যান্টিঅক্সিডান্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, সেইসঙ্গে দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড কোমলতা নিশ্চিত করে। কিন্তু প্যাক লাগানোর পর যদি মনে হয় ত্বকে অস্বস্তি হচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে তুলে দিন। তার পর বরফঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নেবেন। পাশাপাশি টোম্যাটো আর দইয়ের প্যাক মুখে লাগিয়ে কখনোই মিনিট কুড়ির বেশি রাখা যায় না।
শসার রস: রোদে পোড়া ত্বকের পুরোনো ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে শসার রস দারুণ কার্যকর। শসা কুরে রস বের করে নিন, তার পর তুলো দিয়ে লাগান পোড়া আংশে। সঙ্গে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিন। লেবু প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন।
বেসন আর কাঁচা হলুদের মিশ্রণ: ত্বক উজ্জ্বল করতে কাঁচা হলুদ অত্যন্ত কার্যকরী। কাঁচা হলুদবাটার সঙ্গে বেসন আর দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিয়মিত ব্যবহার করুন। দিন সাতেকের মধ্যেই আপনার ত্বকের হারানো উজ্জ্বল্য ফিরে আসবে।
মধু আর পাকা পেঁপের প্যাক: পেঁপের এনজ়াইম প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে, মধু জোগায় আর্দ্রতা। তাই মধু আর পাকা পেঁপে দিয়ে প্যাক তৈরি করে তা মুখে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।
তবে যেই প্যাকই ব্যবহার করুন না কেন ট্যান রিমুভ করার পদ্ধতি শুরু করার পর ত্বকে রোদ লাগানো একেবারে চলবে না। কারণ এই সময় ত্বক অত্যন্ত স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। ফলে এই সময়ে ত্বকে রোদ লাগলে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি।