নিজস্ব প্রতিনিধি, জয়পুর: মূল্যবৃদ্ধির করাল থাবা থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে, মহিলাদের সামনে তার দিশা দেখানোর জন্য হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। কিন্তু কথা বলতে গিয়েই বিপত্তি। মাইক্রোফোনে কথা শোনাই যাচ্ছিল না। আর তাতেই চটে লাল হয়ে গিয়ে মাটিতে মাইক্রোফোন ছুড়ে ফেললেন। মুখ্যমন্ত্রীর ক্রোধ সামলাতে বিকল্প হিসেবে আরও একটি মাইক্রোফোন এগিয়ে দেওয়া হয়। ওই মাইক্রোফোনের সাহায্য নিয়েই অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করেন তিনি। মরুরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে মাইক্রোফোন ছুড়ে ফেলার দৃশ্য ইতিমধ্যেই
গতকাল শুক্রবার দুদিনের সফরে বাঢ়মেড়ে পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। রাতেই বাঢ়মেড়ের সার্কিট হাউসে ‘মেহেঙ্গাই রাহাত ক্যাম্প’ নামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। গত সাড়ে চার বছর ধরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে আম জনতার অভিজ্ঞতা সরাসরি শুনতেই ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর মুখেই বিপত্তি। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে যে মাইক্রোফোন দেওয়া হয়েছিল, তাতে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। আর তাতেই রাগে অগ্নিশর্মা মাইক্রোফোন মাটিতে ছুড়ে ফেলেন। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বাঢ়মেড়ের জেলাশাসক ছুড়ে ফেলা মাইক্রোফোনটি তুলে নেন। ততক্ষণে অবশ্য সামনে বসা এক সরকারি আধিকারিক অন্য একটি মাইক্রোফোন এগিয়ে দেন গহলৌতের দিকে।
শুধু যে মাইক্রোফোন ছুড়ে ফেলেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তাই নয়। আলোচনার জন্য ডাকা মহিলাদের পিছনে বেশ কয়েকজন পুরুষকে দেখেও চটে যান। অবিলম্বে তাদের চলে যেতে বলেন। এক সময়ে ক্ষুব্ধ স্বরে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়-পুলিশ সুপার কোথায়? জেলাশাসক আর পুলিশ সুপার-দুজনেই বেশ করিৎকর্মা বলে মনে হচ্ছে!