নিজস্ব প্রতিনিধি: গরমে নাজেহাল গোটা বাংলা। গত ৫০ বছরের সমস্ত রেকর্ড ভাঙল তাপমাত্রা। প্রায় ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা পেরিয়েছে বাংলায়। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আরও ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। এই কাঠফাটা গরমে বেহাল দশা রাজ্যবাসীর। এর মধ্যেই জিয়াগঞ্জ শহরের বুকে গায়ক অরিজিৎ সিং এবং তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হল। গতকালই গেছে মেলোডি কিং-এর বার্থডে। আসলে অরিজিৎ সিংয়ের পরিবারের তরফ থেকে হেঁশেল পরিচালনা করা হয়। আর সেই হেঁশেলের বাইরেই ঠান্ডা জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হল পথ চলতি সাধারণ মানুষের জন্য। যা কিনা নিঃসন্দেহে দারুণ একটি উদ্যোগ। আর ঠান্ডা পানীয় পেয়ে খুশি সকলেই। বর্তমানে দেশের অন্যতম প্রধান সারির গায়ক অরিজিৎ। খুব কষ্টে আজকে তিনি এই জায়গাটা পেয়েছেন।
তিনি এক কথায় দেশের মেলোডি কিং। তাঁর কন্ঠে মুগ্ধ দেশবাসী তো বটেই গোটা বিশ্ববাসীও। সেই অরিজিৎ সিং মুর্শিদাবাদ জেলার ভুমিপুত্র। তাঁর গান ছাড়াও তাঁর সাদামাটা ব্যক্তিত্বে মজে ভক্তরা। এছাড়াও নিজের পৈত্রিক বাড়িতে এলে কোনও নিরাপত্তা ছাড়াও সাদামাটা পোশাকে ঘুরে বেড়ান তিনি। তাঁর এমন আচরণে মুগ্ধ না হয়ে যায় কোথায় ভক্তরা! এছাড়াও আরও সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত তিনি। সঙ্গীত জগতে তাঁর খ্যাতির পাশাপাশি তাঁর পারিবারিক রেস্তোরাঁ হেঁশেলের সুনামও বাড়ছে দিন দিন।
জেলা, রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ বিদেশেও জিয়াগঞ্জের হেঁশেলের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ছে। এদিন তাঁর সেই পারিবারিক হেঁশেলের বাইরেই পথ চলতি সাধারণ মানুষের জন্যে দুর্দান্ত ব্যবস্থা করা হল। যখন সকলের গলা শুকিয়ে কাঠ, এক গ্লাস জলের জন্য প্রাণ ওষ্ঠাগত, ঠিক তখনই অরিজিৎ সিংয়ের হেঁশেল গ্লুকোজ দেওয়া ঠান্ডা জল সকলের মুখে তুলে দিল। অরিজিৎ-এর পারিবারিক রেস্তোরাঁ ‘হেঁশেল’ সকাল ১১ টা থেকে রাত ১০.৩০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। যার দায়িত্বে আছেন অরিজিৎ সিংয়ের বাবা সুরেন্দ্র সিং ওরফে কাক্কা সিং। যদিও শহরে থাকলে মাঝে মাঝে রেস্তারাঁতে চলে আসেন অরিজিৎ। আর হেঁশেল গেলে অতিথিরা অপেক্ষায় থাকেন কখন অরিজিৎকে তারা দেখতে পারবেন!