নিজস্ব প্রতিনিধি: হুগলিতে যেদিন থেকে প্রচারে গিয়েছেন সেদিন থেকেই সেখানকার পরিবেশ, খাবার সবকিছুর একেবারে প্রেমে পড়ে গিয়েছেন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দোপাধ্যায়। যদিও তাঁর অনেক মন্তব্য নিয়েও বয়ে গিয়েছে মিমের বন্যা। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করেই জনসংযোগ সারছেন রচনা। তাঁর বিরোধী পক্ষ বিজেপিপ্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় যতই তাঁকে ঠুকে কথা বলুক না কেন, তাতে নো পাত্তা রচনা। বরং শুটিং, নিজের ব্যবসা সবকিছু সামলে নিয়মিত ভোটের প্রচারে যাচ্ছেন তিনি। কখনও হুডখোলা গাড়িতে চেপে, কখনও দলীয় কর্মীদের নিয়ে হেঁটেই প্রচার করা সারছেন রচনা। আদতে তিনি রাজনীতিতে নবাগতা হলেও তাঁর হাবভাব কিন্তু একেবারে দাপুটে নেত্রীর মতো।
যাই হোক, গত ২ মাস ধরে চলা জনসংযোগে নেমে হুগলির মিষ্টি দই থেকে ঘুগনি, মুড়ি-তরকারি-সহ একাধিক খাবার চেখে দেখেছেন নায়িকা। এবং তাতে প্রশংসায় পঞ্চমুখ অভিনেত্রী। এমনকি জনসংযোগের সময় অনেকেই তাঁর দিকে ঠান্ডা জল, ঠান্ডা পানীয় থেকে বাড়ির তৈরি খাবার এগিয়ে দিচ্ছেন। কোনওটা নিয়েছেন, আবার কখনও বিনয়ের সুরে বলেছেন, অনেক খাওয়া-দাওয়া হয়ে গিয়েছে। আর নয়। আবার পরে। সেই কারণেই এখনও চন্দননগরের প্রসিদ্ধ জলভরা সন্দেশ এখনও পরখ করতে পারেননি রচনা। শুক্রবার তিনি চন্দননগরে প্রচারে গিয়েছিলেন রচনা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু পেটভরা থাকায় তিনি সেখানকার জলভরা সন্দেশ চেখে দেখতে পারেননি। হাসতে হাসতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘চন্দননগরের জলভরা এখনও খাওয়া হয়নি। পরে খাব।’’
আজ প্রচন্ড গরম আর চড়া রোদের মধ্যেই চন্দননগর বিধানসভা এলাকায় প্রচার সেরেছেন রচনা। এদিন তিনি চন্দননগরে স্টেশন রোড কালীবাড়ি থেকে পুজো দিয়ে চন্দননগর পুরনিগমের ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত প্রচার করেন। প্রচারে রচনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, শিল্পের শহরে কী বার্তা দেবেন তিনি? যদিও অভিনেত্রী বলেন, ‘‘এখনও বার্তা দেওয়ার সময় আসেনি। এখন শুধুই প্রচারের সময়।’’ প্রসঙ্গত চন্দননগরের আলো এবং জগদ্ধাত্রী পুজো গোটা জগৎ বিখ্যাত, ঠিক তেমনই চন্দননগরের জলভরা সন্দেশ বিখ্যাত।