নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে কার্যত কল্পতরু শেখ হাসিনা সরকার। গ্রাম বাংলার গরিব মানুষের কথা মাথায় রেখে চালু করতে চলছে নয়া আইন। ওই নয়া আইনে সাধারণ মানুষ গাছ, মাছ, গবাদিপশু, সোনা, রুপো, গাড়ি, আসবাবের মতো অস্থাবর সম্পত্তি জামানত রেখে ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। সরকারের এমন উদ্যোগ বেনজির বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ‘সুরক্ষিত লেনদেন (অস্থাবর সম্পত্তি) বিল–২০২৩’ পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ওই বিলে বলা হয়েছে, বর্তমানে শুধু স্থাবর সম্পত্তি অর্থাৎ জমি এবং বাড়ি রেখেই ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়া যায়। ফলে বহু সাধারণ মানুষ প্রয়োজন পড়লেও ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণের সুযোগ পান না। কিন্তু নয়া আইনে অস্থাবর সম্পত্তি রেখেও মিলবে ঋণ। বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে অর্থ মন্ত্রক সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিতে।
এদিন সংসদে পেশ করা বিলে অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে কোন-কোন পণ্যের বা জিনিসের বিনিময়ে ঋণ নেওয়া যাবে তাও নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে রয়েছে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত স্থায়ী আমানতের সনদ। সোনা, রুপো-সহ অন্যান্য মূল্যবান ধাতু, মৎস্য, গবাদিপশু, বৃক্ষ ও শস্যাদি, আসবাব, ইলেকট্রনিক পণ্য, সফটওয়্যার ও অ্যাপস। বিলটি উত্থাপনের পরেই আপত্তি জানান জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। তাঁর কথায়, ‘স্থাবর সম্পত্তি জামানত রেখে এখন ঋণ নেওয়া যায়, তাতেই ব্যাঙ্কগুলি লুটপাটের আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। অস্থাবর সম্পত্তি জামানত রেখে ঋণ নেওয়ার বিধান করা হলে তা বিপর্যয় ডেকে আনবে।’