নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বয়স ৫৫ বছর। নিজের কর্মজীবনের একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছেন। হাতে গোনা আর মাত্র কয়েক বছর। তারপরেই নিজের পেশাকে বিদায় জানাতে হবে। কিন্তু নিজের কর্মজীবনের একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েও কমান্ড্যান্ট রতন সিং সোনালের ফিটনেস এবং গায়ের জোর তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো। সম্প্রতি এই ইন্দো-তিবেতিয়ান সীমান্ত পুলিশ কমান্ড্যান্টের কীর্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। মধ্যবয়সী এই পুলিশ অফিসার সম্প্রতি লাদাখে সাড়ে ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় -৩০ ডিগ্রি ঠাণ্ডার মধ্যে ৬৫টি পুশ আপ দিয়েছেন। ওই ভয়াবহ ঠাণ্ডা এবং ঝোড়ো হাওয়ার মধ্যেও তিনি কার্যত অবিচল থেকে এবং একবারও না থেমে একাতানা এতগুলো পুশ আপ দিয়েছেন। তাঁর এই দুঃসাহসিক কর্মকাণ্ডের ভিডিওই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং তাঁর শারীরিক এবং মানসিক শক্তি দেখে কার্যত হতবাক নেটিজনেরা।
জানা যাচ্ছে, গত সপ্তাহেই ৫৫ বছর বয়সী কমান্ড্যান্ট রতন সিং সোনাল ৬ জন পর্বতারোহীর একটি দলকে ২০,১৭৭ ফুট উঁচু পর্বতের শিখর কার্জোক কাংরির চূড়ায় নিয়ে গিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, এই প্রথম পর্বতারোহীর কোনও দল কার্জোক কাংরির চূড়ায় পৌঁছাল এবং এই গোটা পর্বতারোহণের নেতৃত্বের দায়িত্বে ছিলেন রতন সিং। দলটি গত ২০ ফেব্রুয়ারী যখন লাদাখের কার্জোক কাংরি পর্বতে পৌঁছায় সেই সময়ে ওই শিখরের আবহাওয়া ছিল ভয়াবহ। জানা যাচ্ছে ওই সময়ে কার্জোক কাংরির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিল। কিন্তু ওই ভয়াবহ ঠাণ্ডার মধ্যেই রতন সিং পাহাড়ের চূড়ায় একটানা ৬৫টি পুশ আপ দিয়েছেন।
সম্প্রতি ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের তরফ থেকেও একটি বিবৃতি দিয়ে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে যে, এই প্রথম কোনও পর্বতারোহীর দল লাদাখের কার্জোক কাংরি পর্বতের শিখরে পৌঁছলেন। কমান্ড্যান্ট রতন সিং সোনালের নেতৃত্বে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন ৬ জন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পর্বতারোহী। এর পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে যে,এই বিশেষ দলটি পর্বতারোহণের জন্য কোনও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিরও সাহায্য নেননি।