নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সমকামী হওয়ায় তাঁর আশঙ্কা ছিল মোদি সরকার যেভাবেই হোক বিচারপতি পদে তাঁর নিয়োগ আটকে দেবে। নভেম্বরে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই সেই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। সাক্ষাৎকার প্রকাশের দেড় মাসের মাথায় তাঁর সেই আশঙ্কা সত্যি হল। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি পদে সৌরভ কৃপালের নিয়োগ খারিজ করে দিল মোদি সরকার।
সৌরভ কৃপালের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের আরও অভিযোগ, তার সঙ্গী একজন বিদেশি। তাই, বিচারপতি পদে সৌরভ কৃপালকে নিয়োগ করলে দেশের নিরাপত্তার পক্ষে তা বিপজ্জনক হতে পারে। সৌরভ কৃপালের গতিবিধি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্র গোয়েন্দা দফতরকে খোঁজ খবর নিতে বলে। গোয়েন্দা দফতর থেকে কেন্দ্রকে দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের বিচারপতিপদে কৃপালের নিয়োগ অত্যন্ত ঝুঁকি হয়ে যাবে।
জানা গিয়েছে, দিল্লি হাইকোর্টের কলেজিয়াম ২০১৭-য়ের অক্টোবরে বিচারপতি পদে কৃপাল সৌরভের নাম সুপারিশ করে। সেই সুপারিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামকে। সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে আলোচনা হয়। সেই আলোচনা প্রক্রিয়া চলে কয়েক মাস। গত বছর ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবরে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান। জানতে চান সমকামী হওয়ার কারণেই কি দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি পদে সৌরভ কৃপালের নামে সম্মতি দেওয়া হচ্ছে না। দেরি হলেও সুপ্রিম কোর্ট পরে অবশ্য এই প্রবীণ আইনজীবীকে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি পদে নিয়োগের সুপারিশ করে। এবার সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশ বাতিল করল কেন্দ্র।