নিজস্ব প্রতিনিধি : কথায় আছে ‘প্রেম অন্ধ…পিড়িতে মজেছে মন,কিবা হাঁড়ি কেবা ডোম।’প্রেমিকের সঙ্গে প্রেমিকার বয়সের পার্থক্য ৪৪ বছর। প্রেমিকের বয়স ৬৬ বছর। দীর্ঘ বয়সের পার্থক্য থাকা স্বত্তেও প্রেমিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন ২২ বছর বয়সী তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামে। জোর করে নয়, বরং মেয়েটির সম্মতি ও জেদের কারণে মাথা নুইয়েছে ৬৬ বছর বয়সী বৃদ্ধ। শেষ পর্যন্ত নাতনির বয়সি মেয়ের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তিনি।

সামাজিক মাধ্যম এই ঘটনার বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, পাঞ্জাবি ও টুপি পরা ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি নববধূর মুখে মিষ্টি তুলে দিচ্ছেন।বয়সের হিসেবে ৪৪ বছরের পার্থক্য এই নবদম্পতিকে দেখে অনেকেই ভ্রু কুঁচকিয়েছেন। তবে তাতে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই নববধূর। নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী আইরিনের বয়স ২২।বাড়িতে তার বিবাহের প্রস্তাব উঠলে বৃদ্ধ প্রেমিককে নিয়ে হাজির হন বাড়িতে। দুই পরিাবারের সম্মতিতে বিয়ে সারেন তারা।

নববধূর আইরিসের কথায়, বৃদ্ধ শরিফুল ইসলামের তাঁর দীর্ঘদিনের পরিচয়।আইরিন আক্তার টাঙ্গাইলের একটি নার্সিং কলেজে বর্তমানে পড়াশোনা করেন।আইরিনের পড়াশোনার সব খরচ বহন করছেন শরিফুল।তার পড়াশোনার খরচ বহন করতে ব্যাংকের ছয় লাখ টাকা ডিপোজিট করেছেন তিনি। সেই টাকার প্রতিমাসের লভ্যাংশ তুলে আইরিন আক্তারের পড়াশোনা চালান। তার বাড়ি থেকে সেরকম সামর্থ ছিল না তাই শরিফুলই তার দায়িত্ব নিয়েছিল।সেই থেকে ৬৬ বছর বয়সী শরিফুলকে ভাল লেগে যায় আইরিনের।বিপদে আপদে সবসময় পাশে পেয়েছেন শরিফুলকেই। বয়সের পার্থক্য বেশি হলেও শরিফুলই একমাত্র তার বন্ধু।

আইরিন আরও জানান, বিয়ের পর যদি তার হবু স্বামী তাকে পড়াশোনা করতে না দেন। বা দায়িত্ব না নেন। তাই তিনি শরিফুলকেই বিয়ে করতে চান। শরিফুল প্রথমে রাজি হয় নি। তিনিই অনেক কষ্টে রাজি করিয়েছেন তাঁকে।