নিজস্ব প্রতিনিধি, আমদাবাদ: ই কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্টের (Flipkart) বিগ বিলিয়ন ডেজ সেল (Big Billion Days sale) থেকে বাবার জন্য ল্যাপটপের অর্ডার দিয়েছিল আমদাবাদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের (IIM-Ahmedabad) পড়ুয়া যশস্বী শর্মা (Yashaswi Sharma)। কিন্তু নির্ধারিত দিনে হাতে ই কমার্স সংস্থার প্যাকেট খুলে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার উপক্রম। কেননা, ওই প্যাকেটে ল্যাপটপের পরিবর্তে ঠাসা একটি নামী সংস্থার ডিটারজেন্ট পাউডার। সঙ্গে সঙ্গেই ই-কমার্স সংস্থার গোচরে প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিল যশস্বী। কিন্তু ফ্লিপকার্টের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই ডিটারজেন্ট পাউডারের পরিবর্তে কোনও ভাবেই ল্যাপটপ দেওয়া সম্ভব নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশের নামী ই-কমার্স সংস্থার কীর্তির কথা তুলে ধরেছেন আইআইএম আমদাবাদের পড়ুয়া। যশস্বী লিখেছেন, ‘বাবার জন্য ফ্লিপকার্টে ল্যাপটপের অর্ডার দিয়েছিলাম। পরিবর্তে মিলল বাক্স ভর্তি ডিটারজেন্ট পাউডার। সঙ্গে সঙ্গেই ই কমার্স সংস্থার কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই ডিটারজেন্ট পাউডার ফেরত নেওয়া হবে না। কেননা, ওপেন বক্স নীতি অনুযায়ী, জিনিস বুঝে নেওয়ার পরেই ডেলিভারি বয়কে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড জানানো হয়েছিল। আমার কাছে সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। ওই ফুটেজেই স্পষ্ট ফ্লিপকার্টের ডেলিভারী বয়ের সামনে বক্স খোলা হয়নি।’
সংস্থার পক্ষ থেকে ওপেন বক্স নীতির কথা বলে দায় এড়ানোর যে চেষ্টা চলেছে সে বিষয়ে আইআইএম আমদাবাদের পড়ুয়া লিখেছেন, ‘ওপেন বক্স ডেলিভারীর বিষয়টি বাবা জানতেন না। অন্যান্য পণ্য যে ভাবে গ্রহণ করেন, এবারেও সেইভাবে পণ্য নিয়েছিলেন এবং ডেলিভারী বয়কে ওটিপি দিয়েছিলেন। বাবা ওপেন বক্স নীতির কথা নাই জানতে পারেন, যিনি ডেলিভারী দিতে এসেছিলেন, তিনি কেন বিষয়টি বাবাকে জানালেন না?’