এই মুহূর্তে




Sawan 2024: চন্দ্রকে শাপ-মুক্ত করার অভিপ্রায়েই জ্যোতির্লিঙ্গ রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন দেবাদিদেব




পৃথ্বীজিৎ চট্টোপাধ্যায়: দেবাদিদেব মহাদেবই আদি, তিনিই অন্ত। অপার করুণাময় তিনি। তিনি তাঁর ভক্তদের দুঃখ-দুর্দশা ও কষ্ট দূর করার জন্যই জ্যোতির্লিঙ্গ রূপে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিরাজ করেন। জানা যায়, অরিদ্রা নক্ষত্রের রাতে ভগবান শিব জ্যোতির্লিঙ্গ রূপে আবির্ভূত হয়ে থাকেন।শিবপুরাণে এমন মোট বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গের উল্লেখ পাওয়া যায়, যাঁদের দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ বলা হয়ে থাকে। 

জানা যায়, এই দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে শ্রী সোমনাথই প্রথম জ্যোতির্লিঙ্গ। গুজরাটের সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের ভেরাবলের প্রভাসক্ষেত্রে এই সোমনাথ জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দির অবস্থিত। তবে, এই জ্যোতির্লিঙ্গের নেপথ্যে এক প্রাচীন কাহিনী আছে। কথিত আছে , চন্দ্রদেবের সঙ্গে নিজের ২৭ কন্যার বিবাহ দিয়েছিলেন প্রজাপতি দক্ষ। নিজের ২৭ জন স্ত্রীর মধ্যে চন্দ্রদেব রোহিণীকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন । এর ফলে দক্ষের অন্য ২৬ কন্যারা দুঃখে কাতর হয়ে তাঁদের পিতা দক্ষকে সব কথা জানালে তিনি চন্দ্রকে নানা ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয় না। অবশেষে ক্রূদ্ধ দক্ষ প্রজাপতি চন্দ্রকে ক্ষয়গ্রস্ত হওয়ার অভিশাপ দিয়ে বসলে চন্দ্র তৎক্ষণাৎ ক্ষয় হতে শুরু করেন। ফলে, চন্দ্রের অভাবে পৃথিবীতে শীতল বর্ষনের কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়। পৃথিবী উত্তপ্ত হতে শুরু করে। 

শেষে দেবতাদের অনুগ্রহে ব্রহ্মা চন্দ্রকে পরামর্শ দেন যে, নিজের শাপ-মোচনের জন্য অন্য দেবতাদের সঙ্গে চন্দ্র প্রভাসক্ষেত্রে গিয়ে মৃত্যুঞ্জয় ভগবান শিবের আরাধনা করুন। সেই কথামতো চন্দ্রদেবের ঘোর তপস্যা ও ১০ কোটি বার মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপে প্রসন্ন হয়ে দেবাদিদেব চন্দ্রকে অমরত্বের আশীর্বাদ দেন। মহাদেব শিব চন্দ্রকে বলেন, “কৃষ্ণপক্ষে প্রতিদিন তাঁর এক এক কলা ক্ষয় হবে, কিন্তু শুক্লপক্ষে ক্রমশ এক এক কলা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এই উপায়ে প্রজাপতি দক্ষের বচনও পালিত হওয়ার সাথে চন্দ্রের শাপ-মোচনও ঘটবে।” এছাড়াও তিনি চন্দ্রকে তাঁর মস্তকে স্থান দেন ও তাঁর নাম হয় চন্দ্রশেখর। এরপর থেকেই সস্ত্রীক মহাদেব প্রভাসক্ষেত্রে বিরাজমান। এই স্থানের উল্লেখ মহাভারত, শ্রীমদ্ভাগবত ও স্কন্দ পুরাণেও পাওয়া যায়। চন্দ্রের আরেক নাম সোম আর তিনি শিবকে এই প্রভাসক্ষেত্রে নিজের অধিপতি জ্ঞানে অর্চনা করেন বলে এখানে মহাদেবের নাম সোমেশ্বর শিব ও সেই নামানুসারে এই মন্দিরের নাম হয় সোমনাথ।

প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই সোমনাথ জ্যোতির্লিঙ্গের দর্শন,পুজো ও আরাধনা করলে ভক্তরা সমস্ত মহাপাপ থেকে মুক্তি লাভ করেন ও একাধারে সেই ব্যক্তি  শিব ও পার্বতীর অক্ষয় আশীর্বাদের পাত্র হন। এখানে পুজো করলে মনুষ্যের মোক্ষ লাভও ঘটে। ভক্তদের বিশ্বাস, চন্দ্রদেব শিবের প্রতি শ্রদ্ধায় প্রতি কার্তিক মাসে পূর্ণচন্দ্র রূপে এই মন্দিরে বিরাজ করেন। তাই সোমনাথ মন্দিরে কার্তিক পূর্ণিমা তিথি বিশেষভাবে পালিত হয়। এছাড়া শিবরাত্রি, নবরাত্রি ও দীপাবলিতে প্রচুর ভক্তসমাগম হয় এই মন্দিরে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

Mahalaya : মহালয়া  শুভ না অশুভ? বিচার করুন নিজেই

Vishwakarma Puja 2024: কবে হবে বিশ্বকর্মা পুজো ? জেনে নিন শুভ সময়

Mahalaya : আসলে কি এই মহালয়া? জানুন দেবী দুর্গার সাথে এর সম্পর্ক

এবছর দেবী দূর্গা আসছে কীসে ? অশুভ ইঙ্গিত বহন করেছে না তো ?

ধর্ষণের দায়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপকের কারাদন্ড

Swami Vivekananda: ‘ভেঙেছ দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়, তোমারি হউক জয়’

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর