নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও বাঘের আতঙ্ক দেখা দিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গোসাবা এলাকায়। এবার তার হানাদারির মুখে পড়ল গোসাবার বালি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরাখণ্ড এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মঙ্গলবার ভোরের দিকে মথুরাখণ্ডের বাসিন্দা হাবুল দাসের বাড়ির গোয়ালে ঢুকে বাঘ তিনটি ছাগল ও একটি গরুকে মেরে রীতিমত ভোজ খেয়েছে। বাঘটি কিন্তু তারপর জঙ্গলে ফিরে যায়নি। বরঞ্চ গ্রামের পাশেই জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। সেই জঙ্গলে তার উপস্থিতি টের পেয়েছেন বনদফতরের কর্মীরাও। তাঁরা এখন চেষ্টা করছেন দ্রুত বাঘটিকে খাঁচা বন্দি করে তাকে ফের জঙ্গলের কোর এলাকায় ছেড়ে দিয়ে আসতে।
সুন্দরবনের গ্রামীণ এলাকায় বাঘের হানাদারির ঘটনা অস্বাভাবিক নয়, প্রতি বছরই এই ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু এবারে এই ঘটনা খুবই বেড়ে গিয়েছে। গোসাবা, বাসন্তী, কুলতলি, পাথরপ্রতিমার মতো ব্লকগুলিতে আগে এই উৎপাত দেখা যেত। এবার সেই সব এলাকার পাশাপাশি জয়নগর এলাকাতেও বাঘ চলে আসছে খাবারের সন্ধানে। আর তার জেরে গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। পাশাপাশি বাঘ ধরতে গিয়ে নাকাল হচ্ছেন বনকর্মীরাও। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বিদ্যার জঙ্গল থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘ মথুরাখণ্ডে ঢুকে পড়ে। রাতেই তা হানা দেয় হাবুল দাসের বাড়ির গোয়ালে। সেখানে একটি গরু আর ৩টি ছাগল মেরে খায় সে। এদিন ভোরে তা বাড়িওর বাসিন্দাদের নজরে আসে। আর তারপরেই গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। গ্রামের লোকেরা এরপর লাঠি নিয়ে বাঘটিকে তাড়া করলে সে গ্রামের পাশেই থাকা এক জঙ্গলে আশ্রয় নয়। দ্রুত খবর যায় বনদফতরের কর্মীদের কাছেও। এদিন সকাল থেকেই বাঘটির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছেন বনকর্মীরা। এখনও পর্যন্ত তার খোঁজ পাওয়া না গেলেও ওই জঙ্গলের মধ্যেই যে সে লুকিয়ে আছে তা বুঝতে পেরেছেন বনকর্মীরা। ফলে ওই এলাকা জাল দিয়ে ঘিরে ফেলার চেষ্টা চলছে। তবে সকালে কুয়াশা থাকার কারণে কিছুটা হলেও বাঘ খোঁজার কাজে ব্যাহত হচ্ছে।