সুব্রত রায়: রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে সঙ্ঘাতের মধ্যেই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি(ED) ও সিবিআই। প্রায় ১২০০ অফিসারকে ভিন রাজ্য থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে বাংলায়। আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভায় কেন্দ্রে অন্তত দুটি করে কার্যালয় খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে দুই তদন্তকারী সংস্থা। মূলত যে সকল মানুষ বিভিন্নভাবে প্রতারিত হয়েছেন তাদের অভিযোগ গ্রহণ করবে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayet Ellection) আগে গ্রামবাংলায় কী কী ধরনের দুর্নীতি হয়েছে এবং এই দুর্নীতিতে কারা যুক্ত তা জানতেই এই অভিনব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে ইডির এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, গ্রামবাংলার পাশাপাশি শহর ও শহরতলীতে পাড়ায়-পাড়ায় প্রোমোটার থেকে শুরু করে কোন সরকারি আধিকারিক দ্বারা কেউ কোনও ভাবে প্রতারিত হয়ে থাকলে সেই অভিযোগ লিখিতভাবে বা সরাসরি জানানো যাবে ইডি ও সিবিআইয়ের কার্যালয়ে। শিক্ষক নিয়োগ এবং গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে ইডি ও সিবিআই(CBI) যে তথ্য সংগ্রহ করেছে তার থেকে মূল শিকড়ে পৌঁছতে এবং দুর্নীতির জাল কত দূর বিস্তৃত তা জানতে এই অভিযোগ কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে মোট বিধানসভার সংখ্যা ২৯৪ টি প্রতিটি বিধানসভা(Assembly) কেন্দ্র ধরে এলাকাভিত্তিক দুটি করে কেন্দ্র চালু করা হবে। যাতে শহর ও শহরতলীর পাশাপাশি গ্রামবাংলায় কি ধরনের দুর্নীতি হয়েছে এবং সাধারণ মানুষ কতটা সেই দুর্নীতির শিকার হয়েছেন তা খোলসা করা যায়।
শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষের দরজায় গিয়ে দুর্নীতির তথ্য ও অভিযোগ সংগ্রহ করবে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। বিধানসভাভিত্তিক কার্যালয় খুলে অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের অফিসারদের পশ্চিমবঙ্গে(Westbengal) আনার জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জানা গিয়েছে। যে সকল অতিরিক্ত অফিসার ডিসেম্বর মাসে এ রাজ্যে আসছেন তাদের সকলকে ডেপুটেশনে আনা হবে। লোকবল বাড়িয়ে দুর্নীতির সন্ধানে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাচ্ছে কেন্দ্রীয় দুই এজেন্সি।