নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও খবরের শিরোনামে জ্যোমেটো। বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না এই অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপের। বিজ্ঞাপন বিতর্কের পরে এবার ভাষা নিয়ে বেলাগাম মন্তব্য করেছেন এই অ্যাপের গ্রাহক সহায়তা বিভাগের এক কর্মচারী। আর তারপরেই আবারও নেটিজনদের রোষের মুখে পড়েছে এই অ্যাপ। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তামিলনাড়ুর এক গ্রাহক ওই অ্যাপের মাধ্যমে কিছু খাবার অর্ডার দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই খাবার ডেলিভারির পড়ে তিনি দেখেন একটা খাবার কম দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এরপরেই তিনি জ্যোমেটোর গ্রাহক সহায়তা বিভাগের দ্বারস্থ হন। সমস্যার সূত্রপাত সেখানেই। অভিযোগকারী ওই ব্যক্তি জানান, ওই অ্যাপের গ্রাহক সহায়তা বিভাগের কর্মচারী তাঁকে কোনওরকম সাহায্যই করেননি। উল্টে তিনি জানিয়েছেন, হিন্দি না জানার কারণে টাকা ফেরত দেওয়া হবে না। এখানেই শেষ নয়, জ্যোমেটোর ওই কর্মচারী অভিযোগকারী ওই ব্যক্তিকে হিন্দি শিখে নেওয়ার উপদেশ দেন কারণ তার মতে হিন্দি আমাদের দেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা।
জ্যোমেটোর বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ যিনি এনেছেন তিনি তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। ভানাককম বিকাশ নামের ওই ব্যক্তি এরপরেই জ্যোমেটোর কর্মচারীর সঙ্গে তাঁর সম্পূর্ণ কথোপকথনের সমস্ত ছবি (স্ক্রিন সট) টুইটারে প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার কথাও লেখেন। আর সেই পোস্ট প্রকাশ্যে আসতেই জ্যোমেটোকে কেন্দ্র করে উঠেছে বিতর্কের ঝড়। ইতিমধ্যেই বিশালের ওই টুইটটি ৪,৪১৮ বার রিটুইট করা হয়েছে। টুইটটি শেয়ার করে অনেকেই জ্যোমেটো বয়কটের ডাক দিয়েছে।
এমতাবস্থায় আবহাওয়া ক্রমশ খারাপ হচ্ছে দেখে তড়িঘড়ি মাঠে নেমেছে ওই অ্যাপ। বিশালের টুইটটি ভাইরাল হতেই যখন ক্রমশ জ্যোমেটোর বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করে নেটপাড়ার লোকজন তখন বেগতিক দেখে আগেভাগেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে অভিযুক্ত ওই অ্যাপ। মঙ্গলবার বিকালে জ্যোমেটোর তরফ থেকে ইংরাজি এবং তামিল দুই ভাষাতেই ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ওই কর্মচারীর ব্যবহারে তারা খুবই দুঃখিত। এরপরে যাতে এই ধরণের সমস্যা না হয় তার ওপর নজর রাখা হবে। সেই সঙ্গে এদিন অ্যাপের তরফ থেকে অনুরোধ করে বলা হয়েছে টুইটারে যে ‘বয়কট জ্যোমেটো’ হ্যাসট্যাগ লিখে বিতর্কের ঝড় উঠেছে তা যেন বন্ধ করা হয়।