নিজস্ব প্রতিনিধি: বিরোধী দলগুলি ও সংবাদমাধ্যমের একাংশের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে শান্তিতেই মিটেছে পঞ্চায়েত ভোট। গ্রামবাংলার ভোটে ভোটারদের উৎসাহ কতটা ছিল তা ভোটদানের হারেই স্পষ্ট। পঞ্চায়েতে এবার ৮০.৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। আর কম ভোট পড়েছে দার্জিলিংয়ে।
শনিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত রাজ্যে ভোট পড়েছিল ৬৬ দশমিক ২৮ শতাংশ। তখনও বহু বুথের বাইরে ছিল ভোটদাতাদের লম্বা লাইন। ফলে অনেক জায়গাতেই ভোটগ্রহণ শেষ হতে হতে রাত গড়িয়ে যায়। ফলে ভোটদানের হারও এক লাফে অনেকটা বেড়েছে। রবিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে ভোটদানের গড় হার দাঁড়িয়েছে ৮০ দশমিক ৭১ শতাংশ। পূর্ব মেদিনীপুরে ভোটদানের হার সবচেয়ে বেশি। ওই জেলায় ভোট পড়েছে ৮৪.৭৯ শতাংশ। তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমে পড়েছে ৮৩.১৮ শতাংশ ভোট। এ ছাড়া বাঁকুড়ায় ৮৩.০৫ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৮২.৫৯ শতাংশ, ঝাড়গ্রামে ৮২.৪৭ শতাংশ, জলপাইগুড়িতে ৮১.৪৫ শতাংশ, পুরুলিয়ায় ৮১.৪৪ শতাংশ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৮১.৪৪ শতাংশ, মুর্শিদাবাদে ৮০.৯৬ শতাংশ, নদিয়ায় ৮০.৫৮ শতাংশ, উত্তর ২৪ পরগনায় ৮০.৪৯ শতাংশ, পূর্ব বর্ধমানে ৮০.১৩ শতাংশ, পশ্চিম বর্ধমানে ৭২.৫১ শতাংশ এবং মালদহে ৮০.০৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।
শনিবার ভোটগ্রহণের সময়ে উত্তর ২৪ পরগনা, মালদা, মুর্শিদাবাদ-সহ একাধিক জায়গায় বেশ কিছু বুথে ব্যালট বাক্স লুঠ এবং ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। জেলাশাসকদের কাছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, কোনও বুথে পুনর্নিবাচনের প্রয়োজন হলে তা আগামিকাল সোমবারই করতে হবে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেই করাতে হবে। তবে কত সংখ্যক বুথে সোমবার পুনর্নির্বাচন হচ্ছে তা স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন।