নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজধানী দিল্লির বুকে দীর্ঘ দেড়মাস ধরে ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন করে যাচ্ছেন বজরং পুনিয়া-ভিনেশ ফোগত স্বাক্ষী মালিকরা। দু দুবার তাঁদের ওপর ধেয়ে এসেছে দিল্লি পুলিশের নির্মম অত্যাচারও। তবুও তাঁরা হার মানেননি। কুস্তিগীরদের এই আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে এবার পথে নামলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত বুধবার কুস্তিগীরদের সমর্থনে হাজড়া মোড় থেকে আয়োজিত মিছিলে প্রাক্তন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে পা মিলিয়েছিলেন তিনিও। সেখান থেকেই তিনি বার্তা দিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার গোষ্ঠমাল মূর্তির পাদদেশে একটি বিক্ষোভ প্রদর্শণ করা হবে।
সেইমতো বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ গোষ্ঠপাল মূর্তির পাদদেশে অনুষ্ঠান শুরু হয় দিল্লির বুকে আন্দোলনরত কুস্তিগীরদের সমর্থনে। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন জাতীয় হকি খেলোয়াড় গুরবক্স সিং, প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার শ্যাম থাপা, রহিম নবি, বিকাশ পাঁজি, অর্ণব মণ্ডল, আলভিটো ডি কুনাহারা। উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার, মোহনবাগান সচিব দেবাশীষ দত্ত, মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে কামরুউদ্দিন আহমেদ, বেলাল আহমেদরা। উপস্থিত ছিলেন আইএফএ সচিব অনিবার্ণ দত্ত্ও।
আরও জানতে পড়ুন: কুস্তিগীরদের সমর্থনে রাষ্ট্রপতির দরবারে কৃষক নেতারা
এই সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী কুস্তিগীরদের আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, দেশের হয়ে অলিম্পিক, এশিয়ান গেমস সহ বিভিন্ন আন্তজার্তিক প্রতিযোগিতায় যাঁরা পদক জিতেছেন তাঁরা আমাদের গর্ব। আজ কি না তাঁদের ওপরই দিল্লির পুলিশ নির্বিচারে লাঠি চালাচ্ছে, আক্রমণ করছে। এটা সহ্য করা যায় না। এর একটা বিহিত হওয়া দররকার। কেন কেন্দ্রীয় সরকার এই ইস্যুতে ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংকে অপসারণ করছে না সেই প্রশ্ন তুলেও কেন্দ্রীয় ক্রীড়া দফতরের মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সভার শেষে একটি মোমবাতি মিছিলেরও আয়োজন করা হয়। গোষ্ঠপাল মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে মিছিল শেষ হয় গান্ধি মূর্তির পাদদেশে।