নিজস্ব প্রতিনিধি: যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড ফাইনালে চির শত্রু ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে দিল দশ জনের মোহনবাগান। ম্যাচের ৭১ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। সেই সঙ্গে ১৯ বছর আগে ডুরান্ড ফাইনালে হারার মধুর প্রতিশোধ নিল সবুজ মেরুন ব্রিগ্রেড। সেই সঙ্গে গত ১২ অগস্ট ডুরান্ডের গ্রুপ পর্বে হারার জবাবও দিল। যোগ্য দল হিসেবেই ডুরান্ড জিতেছে মোহনবাগান।
রবিবার ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে মোহনবাগানের খেলোয়াড়রা। বাম এবং ডান-দুই প্রান্ত ধরেই আক্রমণে উঠতে থাকেন বুমোস-দিমিত্রি-সাদিকুরা।আর সেই আক্রমণ সামলাতে খানিকটা হিমশিম খায়। প্রথম ১৫ মিনিট দাপটের সঙ্গেই খেলতে থাকে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। তার পরেই ম্যাচে ফিরতে থাকে লাল-হলুদের ছেলেরা। নন্দকুমার এবং নাওরেম মাহেশরা দুই প্রান্ত থেকে বেশ কয়েকটি ভাল আক্রমণ শানান। ৪৩ মিনিটের মাথায় টপ বক্স থেকে মোহনবাগানের গোল লক্ষ্য করে জোরালো শট মারেন নন্দকুমার। তাঁর বাঁ পায়ের শট গোল উঁচিয়ে বেরিয়ে যায়।প্রথমার্ধের সংযুক্তির সময়ে বল দখলের লড়াইয়ে জড়ান হুগো বুমোস ও সাউল ক্রেসপো। দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন দুই দলের বাকি খেলোয়াড়রাও। শেষ পর্যন্ত রেফারি রাহুল গুপ্তা মোহনবাগানের বুমোস এবং ইস্টবেঙ্গলের ক্রেসপো ও জেভিয়ারকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। খানিকবাদে বিপজ্জনকভাবে ফাউল করে হলুদ কার-ড দেকেন বাগানের অনিরুদ্ধ থাপা। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে পেত্রাতোসের ডান পায়ের শট একটুর জন্য পোস্টের বাইরে বেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায় লাল-হলুদ। ৬২ মিনিটে বল দখলের লড়াইয়ে ইস্টবেঙ্গলের সিভেরিয়োকে বিপজ্জনকভাবে ফাউল করেন মোহনবাগানের অনিরুদ্ধ থাপা। সঙ্গে সঙ্গেই হলুদ কার্ড দেখান রেফারি রাহুল গুপ্তা। দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখায় মাঠ ছাড়তে হয় থাপাকে। ফলে দশজনে নেমে যায় মোহনবাগান। আর একজন কম থাকায় হতোদ্যম হয়ে পড়েনি সবুজ মেরুন ব্রিগেড। ৬৯ মিনিটে এক সঙ্গে তিন খেলোয়াড়কে পরিবর্তন করেন বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। আর্মান্দো সাদিকু, হুগো বুমোস ও আশিক কুরুনিয়ানকে তুলে নিয়ে জেসন কামিংস, লেনি রডরিগজ ও লিস্টন কোলাসোকে নামান। আর ওই পরিবর্তনের সুফলও পায় বাগান।৭১ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় অনেকটা দৌড়ে গিয়ে বক্সের বাইরে থেকে মাটি ঘেঁষা শট নেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। ওই শট লাল-হলুদের গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়িয়ে যায়। গোল খাওয়ার পরে গোল শোধের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। কিন্তু লাভ হয়নি। মোহনবাগানের দুর্ভেদ্যরক্ষণ ভেদ করতে পারেনি।