আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সব সফরের শেষ গল্পের মতো হয় না। এমন অনেক গল্প থাকে, যে গল্প আমচকাই শেষ হয়ে যায়। যেমন হল সেরেনার ক্ষেত্রে। টূর্নামেন্ট শুরুর আগে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সেরেনা বলেছিলেন, আসন্ন ইউএস ওপেন তাঁর টেনিস জীবনের শেষ ম্যাচ হতে চলেছে। কয়েক দশক কাটিয়েছেন। এবার সময় হয়েছে বিদায় নেওয়ার। বিদায় তিনি নিলেন। সেই সঙ্গে ধোঁয়াশাও তৈরি করে গেলেন।
সেরানাকে প্রশ্ন করা হয়, কোর্টে তাঁকে আবার দেখা যাবে কি না ? হালকা হেসে বলেন, তিনি নিজেই জানেন না। তবে কি সেরিনা এখনই অবসর নিচ্ছেন না? আবার কি র্যাকেট হাতে দেখা যাবে টেনিসের সর্বকালের অন্যতম সেরা তারকাকে? সবাইকে ধোঁয়াশায় রেখেই তিনি কোর্ট ছাড়লেন।
খেলা শেষে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি সেরেনা। কেঁদে ফেললেন। গ্যালারিতে বসে ওরাসেন প্রাইস, স্বামী অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান। মেয়ের চোখের জল দেখে কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন মা। সেরানা বাবা-মায়ের প্রতি অশেষ ঋণী থাকবে বলে জানিয়েছেন। সেরেনা বলেন, ‘‘পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। সবার আগে বাবাকে ধন্যবাদ। আমি জানি তুমি দেখছ। পরিবারকে ধন্যবাদ।তারা বছরের পর বছর ধরে আমার পাশে ছিল। সময়-অসময়-দুঃসময়ে তারাই ছিল আমার সঙ্গী। বাবা, মার হাত ধরেই সবটা শুরু। ওদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কয়েক দশক ধরে খেললাম। ভাবতেই পারছি না।’’
গোটা ম্যাচ জুড়ে খালি শোনা গিয়েছিল সেরেনা সেরেনা। ম্যাচের শেষেও সেরেনাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিতে কার্পণ্য করেনি ফ্লাশিং মিডোয় উপস্থিত দর্শকরা