নিজস্ব প্রতিনিধি, আমদাবাদ: চোটের কারণে বিশ্বকাপের প্রথম দিকের একাধিক ম্যাচ খেলতে পারেননি। কিন্তু তা সত্বেও তাঁকে দলে রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। কেন রেখেছিল, সেটা প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রমাণ করেছিলেন। ফের রবিবার বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে বুঝিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার। রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলি-শুভমন গিলদের হারিয়ে মহা ম্যাচে মহানায়ক হয়ে উঠলেন। কার্যত তাঁর চওড়া ব্যাটের কাছে কাগুজে বাঘ হয়ে রইলেন মহম্মদ শামি-যশপ্রীত বুমরা-মহম্মদ সিরাজরা।
২৮ অক্টোবর ধর্মশালায় বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নেমেই তাণ্ডব শুরু করেছিলেন হেড। চলতি বিশ্বকাপের দ্রুততম অর্ধশতরান করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ১০৯ রানে থেমেছিলেন। তার পরে তেমন জ্বলে উঠতে পারছিলেন না। ফলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল অজি ওপেনার। সেই সমালোচনার জবাব দেওয়ার জন্য হয়তো ফাইনাল ম্যাচের জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। রবিবার প্রমাণ করে দিয়েছেন, দলের প্রয়োজনে জ্বলে ওঠার জন্যই রয়েছেন তিনি। দলকে বিপদ থেকে উদ্ধারে তাঁর বিকল্প নেই।
এদিন ব্যাট হাতে শুরুতেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু সতীর্থ ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ আর স্টিভ স্মিথকে চোখের সামনে ফিরে যেতে দেখে খানিকটা গুটিয়ে গিয়েছিলেন। মার্নুস লাবুশানেকে সঙ্গে নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় খেলতে থাকেন। ৫৮ বলে নিজের অর্ধশতরান করেন। কিন্তু সেই অর্ধশতরান হওয়ার পরেই ফের স্বমূর্তি ধারণ করেন। স্পিনার-পেসার কাউকেই রেয়াত করেননি হেড। সিরাজ-শামি-বুমরা-কুলদীপ যাদব-রবীন্দ্র জাদেজাদের নিয়ে ছেলেখেলা করেন। শেষ পর্যন্ত ভারতের হার নিশ্চিত করেন। মহম্মদ সিরাজের বলে ১৩৭ রানে যখন থামলেন তখন জয় থেকে মাত্র দুই রান দূরে অস্ট্রেলিয়া। চাইলে অনায়াসে ঠুক ঠুক করে খেলে উইনিং স্ট্রাইকও নিতে পারতেন। কিন্তু তা করেননি হেড। যখন আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন তখন গোটা মাঠ দাঁড়িয়ে তাঁকে অভিবাদন জানালেন। আর জানাবেই না কেন? তাঁর ১১৯ বলের ইনিংস যে সাজানো ছিল ১৫টি চার আর চারটি ছক্কায়।