নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: রঞ্জি জয়ের পর মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) স্কোয়াডের সবাই যখন আনন্দে আত্মহারা, শিবিরে ছিল উৎসবের মেজাজ, সেই সময় দলের একজন কিছুটা হলেও নিজের কাছে নিজেকে একা করে রেখেছিলেন। মনে পড়ছিল ১৫ বছর আগের কথা। আর যাকে নিয়ে এই প্রতিবেদন, তিনি মধ্যপ্রদেশকে (Madhya Pradesh) চ্যাম্পিয়ন করে তোলার কারিগর।
আশা করা যায় পাঠক সহজেই অনুমান করতে পারছেন কার কথা বলছি। এই প্রতিবেদন কুমার কার্তিকেয়কে নিয়ে। দলকে সহজেই জয় এনে দিলেও তার জীবনকাহিনী অত্যন্ত সংঘর্ষের। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কার্তিকেয়র (Kumar Kartikeya) বাবা শ্যামানাথ সিং বলেছেন ফেলে আসা দিনের কথা।
ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে কুমার কার্তিকেয়র (Kumar Kartikeya) বাবা শ্যামানাথ সিং বলেন, ‘জাতীয় দলে (National team) খেলার স্বপ্ন নিয়েই ও হাতে ব্যাট তুলে নেয়। নিয়ম করে সকালে অনুশীলন করত। টার্গেট ছিল উত্তরপ্রদেশ অনুর্ধ্ব ১৬ (Under sixteen) দলে নাম লেখানোর। কিন্তু সুযোগ না পাওয়ায় ও বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার (left home) সিদ্ধান্ত নেয়। ছেলের বাড়ি ছাডা়য় কষ্ট পেয়েছিলাম। আমার থেকেও বেশি কষ্ট পেয়েছিল ওর মা (mother) ।আর যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, সেই সময় মোবাইল ফোনের এত রমরমা ছিল না। ফোনে ওকে বাড়ি ফিরে আসার জন্য বহুবার বলা হয়েছিল। ও শুধু একটাই কথা জানায়, জীবনে (Life) ) কিছু করে না দেখানো পর্যন্ত ও বাড়ি ফিরবে না। দল রঞ্জি (Ranji) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আর দলকে চ্যাম্পিয়ন করে তোলার পিছনে আমার ছেলের অবদান অনেকটাই। ও বাড়ি (home) ফিরবে, এর থেকে বড় আনন্দের খবর আর কি হতে পারে। ’