নিজস্ব প্রতিনিধি: ছেলেদের আইপিএলে কখনই চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি বিরাট কোহলিরা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) কাছে অধরাই থেকে গিয়েছিল আইপিএল ট্রফি। ছেলেদের না পারার যন্ত্রণা ভোলালেন মেয়েরা। রবিবার দিল্লি ক্যাপিটালসকে আট উইকেটে হারিয়ে মহিলাদের দ্বিতীয় আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হলেন স্মৃতি মান্ধানারা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৩ ওভারে ১১৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। জবাবে তিন বল বাকি থাকতে আট উইকেট হাতে নিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আরসিবি। অ্যালিস পেরি ৩৫ ও রিচা ঘোষ ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন। এ নিয়ে টানা দুইবার মহিলাদের আইপিএলের ফাইনালে ওঠেও ট্রফি জয় করতে পারলেন না মেগ ল্যানিংরা।
রবিবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে মহিলাদের আইপিএলে মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ও বেঙ্গালুরু। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। শুরু থেকেই ঝড়ের গতিতে খেলতে থাকেন শেফালি ভার্মা ও ল্যানিং। দুজনে ৭ ওভারে ৬৪ রান তুলে বেঙ্গালুরুকে চাপে ফেলে দিয়েছিল। অষ্টম ওভারে বল করতে এসে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন আরসিবির সোফি মলিনক্স। এক ওভারে তিনটি ধাক্কা দেন দিল্লিকে। প্রথম বলে শেফালিকে (৪৪) সাজঘরে ফিরিয়ে দেন। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে পর পর ফিরিয়ে দেন বলে জেমাইমা রদ্রিগেজ (০) ও এলিস ক্যাপ্সিকে (০)। ওই ধাক্কা সামলাতে পারেনি দিল্লি। একাদশ ওভারে দিল্লি অধিনায়ক মেগ ল্যানিংকে (২৩) ফিরিয়ে দিল্লির ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দেন শ্রেয়াঙ্কা পাটিল। এর পরে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে দিল্লি। শেষ পর্যন্ত ১৮.৩ ওভারে ১১৩ রানে অল আউট হয়ে যায় ল্যানিংয়ের দল। বল হাতে সোফি ছাড়াও নজর কাড়েন শ্রেয়াঙ্কা পাটিল। তিনি ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি।
স্বল্প রানের পুঁজিও অবশ্য দুর্দান্ত লড়ে গেল দিল্লি। ১১৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শুরু থেকেই সতর্ক হয়ে খেলতে থাকেন আরসিবির দুই গোড়া পত্তনকারী ব্যাটার অধোনায়ক স্মৃতি মান্ধানা ও সোফি ডিভাইন। প্রথম উইকেটে জুটি বেঁধে দুজনে ৪৯ রান যোগ করেন। নবম ওভারে ডিভাইনকে (৩২) ফিরিয়ে দেন শিখা পাণ্ডে। এর পরে মান্ধানা ও অ্যালিস জুটি বেঁধে দলকে টেনে নিয়ে যান। ব্যক্তিগত ৩১ রানে মিন্নু মনির বলে ফেরেন আরসিবি অধিনায়ক। তার পরে মাথা ঠাণ্ডা করে খেলতে থাকেন প্যারি ও রিচা ঘোষ। হাতে উইকেট থাকলেও বড় শট খেলেননি দুজনে। ফলে ম্যাচ গড়ায় শেষ ওভার পর্যন্ত। তৃতীয় বলে চার হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেন রিচা।