নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট: একা কুম্ভ হয়ে শ্রীলঙ্কার বোলারদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছিলেন। কিন্তু তার সেই লড়াই কাজে লাগল না সতীর্থদের সঙ্গদানের অভাবে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ মুড়িয়ে গেল ১৮২ রানে। ফলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ৩২৮ রানে হারের মতো লজ্জার স্বাদ পেতে হলো টাইগারদের। প্রথম টেস্টে জয়ের ফলে দুই টেস্টের সিরিজে ১-০ গোলে এগিয়ে গেল ধনঞ্জয় ডি সিলভার বাহিনী।
সিলেট টেস্টের প্রথম দিনে প্রথমে্ ব্যাটিং করতে নেমে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল সফরকারী দল। মাত্র ৫৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক ধনঞ্জয় ডি’সিলভা আর কামিন্দু মেন্ডিজের জোড়া শতরানের সুবাদে ২৮০ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঘরের মাঠে ১৮৮ রানে গুটিয়ে যায় নাজমুল হাসান শান্তরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ফের ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ধনঞ্জয় ডি’সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিজ। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও শতরান করেন দু’জনে। ভেঙে দেন ১৪৭ বছরের রেকর্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কা থামে ৪১৮ রানে। জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১১ রান।
গতকাল রবিবার তৃতীয় দিনের শেষ বেলায় ব্যাট করতে নেমে ফের বিপর্যয়ের মুখে পড়ে টাইগাররা। দিনের শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ৪৭ রান। ফলে প্রথম টেস্টে টাইগারদের পরাজয় নিয়ে কারও কোনও সংশয় ছিল না। শুধু কত রানে রানে, সেদিকে নজর ছিল সবার। সোমবার সকালে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান তাইজুল ইসলাম (৬)। এর পরে মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গী করে শ্রীলঙ্কার সামনে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান মুমিনুল হক। ষষ্ঠ উইকেটে জুটি বেঁধে দুজনে দলকে ১০০ রানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন। কাসুন রাজিথার বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ (৩৩)। সপ্তম উইকেটে মুমিনুল ও শরিফুল ৪৭ রানের জুটি বাঁধেন। রাজিথার বলে ফিরতে হয় শরিফুলকে (১২)। পরের বলে ফেরেন খালিদ আহমেদও। এক প্রান-ত ধরে রাখেন মুমিনুল। শ্রীলঙ্কার জয় বিলম্বিত করেন। শেষ পর্যন্ত নাহিদ রানা আউট হতে ১৮২ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস। ৮৭ রানে অপরাজিত থেকে যান মুমিনুল। কাসুন রাজিথা ৮১ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন।