নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২০ সালে লকডাউনের সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন যুবরাজ সিং। ক্রিকেটার রোহিত শর্মার সঙ্গে কমেন্ট শেয়ার করার সময় জাতিগত বৈষম্যমূলক মন্তব্য করেন ভারতের এই প্রাক্তন অলরাউন্ডার। তারপরেই তাঁর বিরুদ্ধে হানসি থানায় এফআইআর করেন এক যুবক। জাতিগত বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য এমনিতেই গতবছরে যুবরাজের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রেন্ড শুরু হয় গ্রেফতারির জন্য। যার ভিত্তিতেই এতদিন বাদে হানসি থানায় দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটার অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং। যদিও ওই মামলায় গ্রেফতারির পর অন্তর্বর্তিকালীন জামিনে ছাড়া পেয়ে যান যুবরাজ।
২০২০ সালেই নিজের মন্তব্যের জন্য যুবরাজ ক্ষমা চেয়ে নেন। তখনই তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষমা চেয়ে পোস্ট করেন, ‘আমি আপনাদের একটা বিষয় স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, আমি কখনই জাতি, বর্ণ, রং এবং লিঙ্গ নিয়ে কখনই কোনও অসম্মানসূচক ইচ্ছাকৃত কথাবার্তা বলতে চাইনি। আমি জনকল্যাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছি। আজও সেই একই কাজ করে যাচ্ছি। আমি ব্যক্তিগত জীবনে কোনও অপবাদ চাই না। গৌরব এবং সম্মানের সঙ্গে আমি জীবন কাটাতে চাই।’ যদিও রেহাই পাননি যুবরাজ। হানসি থানায় দায়ের হওয়া পুরানো মামলার ভিত্তিতেই গ্রেফতার হন যুবরাজ। আর এই খবএই হইচই পড়ে যায় সর্বত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আদালতের নির্দেশে যুবরাজ থানায় হাজিরা দেন। যার ভিত্তিতেই গ্রেফতার হন যুবরাজ। পরবর্তীতে জামিন পান তিনি। যুবরাজের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ১৫৩বি, সেকশন ৩(১) ইউ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।