নিজস্ব প্রতিনিধি: দেরি করে ‘আবাস যোজনা’র (ABAS YOJANA) প্রাপ্য টাকা পেয়েছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, শেষ মুহূর্তে এমন সময় টাকা এল, যখন আর কাজ করার সময় নেই। প্রসঙ্গত, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। কেন্দ্রের বরাদ্দ প্রকল্পের অর্থ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না করতে পারলে সেই টাকা ফিরে যায় রাজ্য থেকে। নবান্নের সাফ নির্দেশ, দ্রুত এবং স্বচ্ছ ভাবে সমস্ত কাজ শেষ করতে হবে। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে একাধিক উপযুক্ত এবং কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তা জানিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। স্পষ্ট নির্দেশ, কাজে বাধা দিলেই গ্রেফতার। তবুও ‘দাদাগিরি’ অব্যাহত বিজেপি’র। তৃণমূলের অভিযোগ, কাজ আটকাতেই এইসব করছে গেরুয়া শিবির। সোমবার রাজ্য জুড়ে রীতিমত তাণ্ডব চালাল পদ্মশিবির। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের।
এর আগে ‘আবাস যোজনা’ নিয়ে বিডিও’কে দফতরে ঢুকে আঙুল উঁচিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা। তারপরে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন কুমার মজুমদারের নিদান ছিল, পুলিশকে গাছে বাঁধার। আরও নিদান ছিল, বিডিও’কে মারের। ফের আজ বিজেপি উত্তাল করে তুলল রাজ্যকে।
পুরুলিয়া জেলার বেলকুঁড়ি এলাকায় বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বাধে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও। ভেঙে ফেলা হয় পুলিশের ব্যারিকেড। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে বল্লুক-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপির বিরুদ্ধে উঠেছে পঞ্চায়েত প্রধান এবং বিডিওকে হেনস্থার অভিযোগ। জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে বিজেপি’র পথ অবরোধ হয়। বিক্ষোভ দেখানো হয় রাজগঞ্জ বিডিও অফিসে। বাঁকুড়া জেলার রানিবাঁধ বিডিও অফিসেও বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। অন্যদিকে, এখানে সরব হয়েছেন সমীক্ষার দায়িত্বে থাকা অঙ্গনওয়াড়ি এবং সিভিক কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ হুমকি’র মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। এই ঘটনাতেও আঙুল উঠেছে বিজেপির দিকে। আবার মুর্শিদাবাদ জেলার সুলতানপুরেও দেখা গিয়েছে বিক্ষোভ। অভিযোগ, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ঠিকভাবে সমীক্ষা করছেন না।
অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনায় সিডিপিও এবং বিডিও’র কাছে স্মারকলিপি জমা দেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, সমীক্ষার জন্য গেলেই হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে। অভিযোগ, কাপড় ধরে টান দেওয়া হচ্ছে। এমন কী কাপড় খুলে চাবকানো হবে বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা।