এই মুহূর্তে




২০০ কোটি টাকার অঙ্গপ্রতঙ্গ বিক্রির দুর্নীতি, মাঠে নেমে সূত্র খুঁজছে ED

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার(Kolkata) আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের(R G Kar Medical College and Hospital) আর্থিক দুর্নীতির মামলায় মূল অভিযোগকারী আখতার আলির সঙ্গে কথা বলে মর্গ থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রির কারবারের প্রাথমিক কিছু সূত্র পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। ওই সূত্রের ভিত্তিতে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের(Sandip Ghosh) ঘনিষ্ঠ দুই ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যায়। তদন্তকারীদের দাবি, ওই দু’জনকে ৩ দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বেআইনি অঙ্গ-ব্যবসার জোরালো সূত্রই মিলছে। আর জি কর হাসপাতালের মর্গে গত ৭ বছরের ময়না তদন্ত এবং বেওয়ারিশ দেহের নথি সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে CBI। ওই নথিতে কিছু অসঙ্গতিও পাওয়া গিয়েছে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি। তবে এই গরমিলটুকু তাঁরা এখন ‘হিমশৈলের চূড়া’ বলে দেখছেন। এই প্রেক্ষাপটেই এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার দুই জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নেমে পড়েছে আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED।

আরও পড়ুন, দাবি ছিল মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের, এখন তিনিই ‘অভিভাবক’, ডাক্তারদের ভোলবদলে উঠছে প্রশ্ন

এদিন সকালে কলকাতার দুই জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নেমেছে ED। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ টালা এলাকায় একটি বহুতল আবাসনে হানা দেন ED’র আধিকারিকেরা। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ওই আবাসনেরই ৫ তলায় থাকেন সন্দীপ ঘোষ-‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী চন্দন লৌহ। সেখানে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। তল্লাশি অভিযান চলছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার কালিন্দী এলাকার Octen Medical’র অফিসে। এই সংস্থাটি মেডিকেল সরঞ্জাম সরবরাহ করে। উল্লেখ্য, আর জি কর হাসপাতালের দুর্নীতির ঘটনার প্রসঙ্গে প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলির অভিযোগপত্রে চন্দনের স্ত্রী ক্ষমা লৌহের নাম ছিল। আখতারের অভিযোগ ছিল, আর জি কর হাসপাতাল চত্বরে ক্যাফেটেরিয়া খোলার জন্য নিয়ম বহির্ভূত ভাবে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া দেওয়া হয়েছিল ক্ষমাকে। স্ত্রীকে নিয়ম ভেঙে ক্যাফেটেরিয়া খোলার টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়েছিল কিনা সেটাও এখন তদন্তের মধ্যে চলে এসেছে।

আরও পড়ুন, বিনা চিকিৎসায় মৃত সফিকুল ইসলামের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল

তদন্তকারীদের সূত্রের দাবি, গত ৭ বছরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করে অন্তত ২০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত মিলেছে। কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালকেও এ ক্ষেত্রে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে CBI সূত্রে জানা গিয়েছে। সূত্রের দাবি, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের মর্গে থাকা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবাধে অস্ত্রোপচার করে বার করে নেওয়া হয়। এক একটি অঙ্গের দর অন্তত ৪ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ওঠে। শুধু অন্য রাজ্যেই নয়, একটি পড়শি দেশেও বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের মর্গ থেকে মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাচার করা হত বলে তদন্তকারীরা কিছু তথ্য পেয়েছেন। তাঁরা জানতে পারছেন, ইদানীংকালে রাজ্যেও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানবদেহের হৃৎপিণ্ড, যকৃৎ, কিডনির চাহিদা বেড়েছে। মূলত চিকিৎসা শিক্ষায় এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজে লাগে। 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নিউটাউন থানার আইসি’কে ৭ দিনের মধ্যে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

গেদে সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষকদের জমির ফসল লুট করছে বাংলাদেশী দুষ্কৃতীরা

ফারাক্কায় নাবালিকা ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে ৬০ দিনেই বিচার শেষ, শুক্রবার সাজা ঘোষণা

বাংলায় খুন করে গুজরাতে গা ঢাকা, পুলিশের জালে তবলাবাদকের ‘খুনি’

ফিরে দেখা: প্রথমবার মাদারিহাট বিধানসভার দখল নিল তৃণমূল

সীমান্তের ছাত্র-ছাত্রী ও যুব সমাজকে মাঠমুখী করতে বিশেষ উদ্যোগ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর