নিজস্ব প্রতিনিধি: বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মদ্যপ অবস্থায় নিজের ভাইয়ের মেয়েকেই ধর্ষণ করে গ্রেফতার হল এক যুবক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Midnapur) জেলার খড়গপুর মহলুমার সবং(Sabang) থানার বলরামপুরের লোধা পাড়া এলাকায়। শনিবার ধৃত যুবককে পেশ করা হয় আদালতে। অভিযোগ শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সুযোগেই ভাইয়ের মেয়েকে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ(Physical Harassment) করে ওই যুবক। রাতে বাড়ির লোকেরা ফিরে এলা তাঁরা মেয়েটির কাছ থেকে সব কথা জানতে পারে। একই সঙ্গে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে নিয়ে বাড়ির লোকেরা সবং গ্রামীণ হাসপাতালে যায়। সেখানেই চিকিৎসকেরা ধর্ষণের বিষয়টিতে শিলমোহর দিলে রাতেই ওই যুবকের নামে সবং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবারের লোকেরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ রাতেই বছর ২৬ এর ওই যুবককে গ্রেফতার করে। শনিবার দুপুরে তাকে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয়।
অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুর(Uttar Dinajpur) জেলার ইসলাপুরে(Islampur) বুধুগজ এলাকার ডাক নদীর সেতুর নিচ থেকে বস্তাবন্দী এক মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ওই মহিলাকে গণধর্ষণের পরে খুন(Murder) করে দেহ বস্তায় বেঁধে ওই সেতুর নীচে ফেলে চলে গিয়েছে কেউ বা কারা। এদিন সকালেই সেতুর নীচে দড়ি দিয়ে মুখ বন্ধ করা ওই বস্তাটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই বস্তা থেকে একটি আঙুল বার হয়ে থাকায় কারোর বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে বস্তার ভেতরে কী আছে। তার জেরেই খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তার মুখ খুলতেই দেখা যায় ওড়না দিয়ে বাঁধা রয়েছে এক মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে শরীরে। তবে ঘটনাটি আদৌ গণধর্ষণ ও খুনের কিনা, সে বিষয়ে পুলিশের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ইসলামপুরের পুলিশ সুপার শচিন মক্কার জানিয়েছেন, বস্তা বন্দি তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ।