নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার বুকে আবারও এক নেশামুক্তি কেন্দ্রে এক যুবককে পিটিয়ে মেরে(Youth Death) ফেলার অভিযোগ উঠল। এবারের ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্যের ইস্পাতনগরী দুর্গাপুরের(Durgapur) বুকে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার এই মহকুমা শহরের সিটি সেন্টার(City Center) এলাকার প্রণবানন্দ অ্যাভিনিউতে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নেশামুক্তি কেন্দ্রে(Rehab Home) বছর ২৬’র সুমিত দাসকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ তুলেছে তাঁরই পরিবার। এই ঘটনায় পুলিশ ওই রিহ্যাব হোমের ম্যানেজারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সুমিতকে ওই হোমে ভর্তি করিয়েছিলেন তারই মা উমা দাস। প্রায় দেড় বছর ধরে ওই হোমে ছিল সুমিত। এদিন ওই রিহ্যাব হোমের বিরুদ্ধে সুমিতকে খুনের অভিযোগ তুলেছেন তার কাকা শশাঙ্ক দাস।
আরও পড়ুন সোমবার থেকেই রাজ্য বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন, সন্মতি রাজ্যপালের
জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার অন্তর্গত এবং দুর্গাপুর পুরনিগমের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের মামরাবাজার সংলগ্ন সুভাষপল্লির বাসিন্দা সুমিতের পরিবার। সুমিত ছিল উমাদেবীর একমাত্র সন্তান। ছেলেকে নেশার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য উমা সুমিতকে দুর্গাপুর পুরনিগমের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে থাকা ওই হোমে রেখেছিলেন। কিন্তু এখন তাঁদের অভিযোগ, হোমে সুমিতকে ঠিকঠাকভাবে খেতে দেওয়া হত না বলে অভিযোগ। এমনকী, মারধরও করা হত। এখন তাঁদের অভিযোগ, শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ হোম কর্তৃপক্ষ সুমিতের মামাকে হোম থেকে ফোন করে বলা হয় সুমিত অসুস্থ। সুমিতকে দেখতে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে আসার জন্য বলা হয়। হাসপাতালে গিয়ে পরিবার দেখে সুমিত মারা গিয়েছে। হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডল জানান, ‘বুকে ব্যথা নিয়ে ভর্তি করা হয়েছিল। দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন ছিল না। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হবে। সেই রিপোর্ট দেখেই বলা সম্ভব ঠিক কেন মৃত্যু হয়েছে।’
আরও পড়ুন হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটে খুন ব্যবসায়ী, গুলিতে এফোঁড় ওফোঁড় মাথা
এদিকে সুমিতের মৃত্যুর পরতে এদিন প্রণবানন্দ অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দারা ওই রিহ্যাব সেন্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ওই হোমে এখনও ২০ জনের মতন আবাসিক রয়েছেন। তাঁদের সকলকে প্রতিদিন ব্যাপক হারে মারধর করা হয়। সুমিতের মৃত্যুর জেরে এদিন সকালে এলাকার বাসিন্দারা ও সুমিতের পরিবার পুলিশের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সুমিতের মা সেখানেই অভিযোগ তোলেন, ‘ছেলেকে ঠিকঠাক মতো খেতে দিত না হোমে। ওকে খুব মারধর করত। ওকে পিটিয়ে মেরে দিয়েছে। ছেলেটা হাসপাতালে ভর্তি করে সেখান থেকে পালিয়ে যায় হোমের লোকজন।’ এরপরেই পুলিশ ওই রিহ্যাব হোমের ম্যানেজার অভিজিৎ ভাওয়ালকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।