নিজস্ব প্রতিনিধি: কড়া ধমক দিয়েছেন বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাই তাঁর স্থানে আবার দিলীপ ঘোষকে ফিরিয়ে আনতে চান বিজেপি নেতা। সুকান্তের আগে দিলীপই সামলেছেন এই পদ। তখন তো বকতেন না! তাহলে ইনি কেন বকবেন? মান হয়েছে বিষ্ণুপুরের বিজেপি নেতার। তিনি চাইছেন, দলের সর্ব ভারতীয় সহ- সভাপতি পদ থেকে ফিরিয়ে ফের রাজ্য সভাপতির পদ দেওয়া হোক দিলীপকে।
বিষ্ণুপুরে সাংগঠনিক সভা ছিল বিজেপির। গিয়েছিলন দলের রাজ্য সভাপতি। সেখানেই জেলার সাংগঠনিক সমস্যার কথা তুলে ধরেন বিজেপি নেতা তমালকান্তি গুই। অভিযোগ, তা শুনলেনই না রাজ্য সভাপতি। তার বদলে বেশ করে বকে দিয়েছেন! এতেই বেজায় চটেছেন তমাল। তাঁর অভিযোগ, সমস্যার কথা বলতে গেলে সুকান্ত বলেন, মিডিয়ার কাছে গিয়ে সমাধান খুঁজুন। অভিমানী তমাল চাইছেন, সুকান্তের অপসারণ। চাইছেন, ‘ভাল’ দিলীপকেই আনা হোক আবার। তমালকান্তি গুই পাত্রসায়রের মণ্ডল ২- এর বিদায়ী সভাপতি। বলেন, ওইদিন জেলায় দলের সাংগঠনিক বিভিন্ন সমস্যার কথা বলতে গিয়েছিলেন সুকান্তকে। তখন সুকান্ত তা শুনতে চাননি। বরং জোর করে থামিয়ে দিয়েছেন। অভিযোগ, বিজেপি রাজ্য সভাপতি তাঁকে বলেন, আপনি মিডিয়ার সামনে মুখ খুলেছেন, মিডিয়ার কাছে গিয়ে সমাধান খুঁজুন। এতে অপমানিত বোধ করেছেন তমাল। বলেন, সমস্যার কথা শুনতে নামে মাত্র জেলায় এসেছিলেন তিনি অথচ কর্মী তো দূর, নেতাদেরও কথা শুনতে চান না তিনি। এরপরেই তমাল বলেন, সংগঠনের অবস্থা খারাপ। হাল ফেরাতে পারেন একমাত্র দিলীপ!
প্রসঙ্গত, আবারও বিজেপির অন্দরে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল বৃহস্পতিবার। এর আগে দিলীপ ঘোষ পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অনুপমের। এবার আবারও উস্কে দিলেন নতুন- পুরানো দ্বন্দ্ব। রাজ্য জুড়ে বিজেপির ভাঙনে এবার পরোক্ষ ভাবে দায়ী করলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেই। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, সুকান্ত একা কেউ নন। সবে দায়িত্ব পেয়েছেন। ওঁর অভিজ্ঞতা কম। বলেছিলেন, ওঁর জানা উচিৎ কারা এতদিন আন্দোলন করেছেন। দলের দীর্ঘ বছরের নেতা- কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়াও উচিৎ, বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সুকান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলে দিলীপ বলেছিলেন, দলের পুরানো নেতাদের বিশ্বাস করেই মানুষ এতকাল পথে নেমে এসেছে। তবে দলের সর্ব ভারতীয় সহ- সভাপতির ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্যের পর মুখে কুলুপ এঁটেছেন সুকান্ত। তবে গেরুয়া শিবিরকে বিঁধেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। বলেছিলেন, দ্বন্দ্ব মানেই বিজেপি। এখানে শুধু আদি- নব্য দ্বন্দ্ব নেই, আছে আদি- তৎকাল- নব্য দ্বন্দ্ব। সিপিআইএম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছিলেন, বিজেপিতে এই সময় মুষল পর্ব চলছে।