নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ফের এক তৃণমূল নেতা ও এক ব্যবসায়ীকে ডেকে পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের এক তৃণমূল কর্মী ও এক ব্যবসায়ীকে রবিবার ডেকে পাঠায় সিবিআই। ডেকে পাঠানো হয় গুশকরা অঞ্চল সভাপতি তাপস চট্টোপাধ্যায়কে। এদিন দুর্গাপুরে সিবিআই-য়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই গোয়েন্দারা। সভাপতি তাপস চট্টোপাধ্যায়কে এদিন ৪৫ মিনিট ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। অন্যদিকে সিবিআই-য়ের এই তলবের প্রেক্ষিতে তদন্তে সহযোগিতা করব বলে জানিয়েও বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন। বিজেপির চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় শনিবার তৃণমূলের দুই বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন গত বছর ২ মে হিংসার ঘটনা ঘটে বীরভূমের ইলামবাজারে। সেই ঘটনায় এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সিবিআই সূত্রে দাবি, এই মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের নাম উঠে এসেছে। এর পর অনুব্রত মণ্ডলকে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই গোয়েন্দারা। তাঁর কল লিস্ট খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। ২ মে তাঁর সঙ্গে যাত্রা কথা বলেছেন তাঁদেরকে তলব করছেন দফায় দফায়।
এর আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বীরভূমের লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ এবং পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজকেও তলব করে। এর পর শনিবার হাজিরা দেন দুই বিধায়ক। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় পঞ্চমবার তলবের পর বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি গত বৃহস্পতিবার হাজিরা দেন সিবিআই দফতরে। সেদিন দুপুর ১২ টার মধ্যে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মত নির্ধারিত সময়ের আগে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা। বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলকে ম্যারাথন জিজ্ঞসাবাদ করেন সিবিআই-য়ের গোয়েন্দারা। এবার সেই মামলায় সিবিআই-য়ের তলবের প্রেক্ষিতে হাজিরা দিলেন তৃণমূলের গুশকরা অঞ্চল সভাপতি তাপস চট্টোপাধ্যায় এবং আরও এক তৃণমূল কর্মী -সহ এক ব্যবসায়ী।