নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভাতার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের বহু ভোট বাতিল হওয়ায় ভোটের কাজে নিযুক্ত সরকারি কর্মীদের একাংশ ডিএ না পেয়ে অন্তর্ঘাত করেছেন কি? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পঞ্চায়েত ভোতের গণনার সময় দেখা যায় বহু ব্যালট পেপারে প্রিসাইডিং অফিসারের স্ট্যাম্প থাকলেও স্বাক্ষর নেই, আবার কোনও ব্যালটে স্বাক্ষর থাকলেও স্ট্যাম্প নেই। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী দুটোই জরুরি। স্বাক্ষর ও স্ট্যাম্প না থাকলে তা বাতিল করার নিয়ম। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই নিয়মের লঙ্ঘন করে হয়েছে অন্তর্ঘাত। জোড়াফুল শিবিরের একাংশের অভিযোগ, প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা বাম প্রভাবিত কিছু সরকারি আধিকারিক ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যালটে সই করেননি। কোনওটিতে সই করলে স্ট্যাম্প দেননি। যাতে করে ব্যালট বাতিল হয়ে যায়।
তবে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ তুলে শুধু বসে যাননি তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি কর্মীদের সংগঠন। কারা এই কাণ্ড করলেন, তা চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে সংগঠনটি। ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন’ এর রাজ্য আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার দিন থেকেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ভোট প্রক্রিয়াকে বানচাল করার জন্য লাগাতার উসকানি দিয়েছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে বুথের ভিতরের ছবি তোলারও অভিযোগ উঠেছে একাংশের বিরুদ্ধে। এঁদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। এঁরা দীর্ঘদিন ধরেই ‘নোংরামি’ করছে।’