নিজস্ব প্রতিনিধি: অক্টোবর মাস মানেই উৎসবের আমেজ। দুর্গা পুজোর পর এবার কালী পুজো, ছট পুজো। যদিও পঞ্জিকা মতে এবারেছট পুজো নভেম্বরের শেষে। হালকা শীতের আমেজকে সঙ্গে নিয়ে উৎসবে মেতে উঠবে সবাই। ইতিমধ্যেই সব বাড়িতে প্রস্তুতি তুঙ্গে। সেজে উঠেছে ঘাটগুলি। আগামী রবিবার তথা ১৯শে নভেম্বর ছট পুজো।
ছট পুজোর প্রস্তুতিতে ইতিমধ্য়েই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন নদীঘাটগুলি সেজে উঠেছে আলোতে। তবে এখন আর এই ছট পুজো শুধুমাত্র হিন্দি ভাষাভাষী মানুষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বাঙালিরাও এই ছট পুজোতে মেতে ওঠেন। এবার ছট পুজোকে কেন্দ্র করেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাট, মহকুমা গঙ্গারামপুর সহ বুনিয়াদপুরের নদীঘাটগুলিতে পৌরসভার তরফে চলছে সংস্কার ও ছট পুজোর প্রস্তুতি। গঙ্গারামপুর শহরের বড়বাজার নদীঘাট ও নিউ মার্কেট নদীঘাটের বিভিন্ন ছট পূজা কমিটি গুলোর তরফে ছট পুজোর ঘাটগুলিকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। বাঁশের প্যান্ডেল ওআলোকসজ্জা দিয়ে ছট পুজোর ঘাটগুলিতে ইতিমধ্যে জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে।
গঙ্গারামপুর, বালুরঘাট ও বুনিয়াদপুর পৌরসভার তরফে নদী ঘাটে ছট পুজোর দিন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন থাকবে পুলিশ প্রশাসন। পাশাপাশি ছট পুজোর দিন যাতে কোনরকম দুর্ঘটনা না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও নদীগুলিতে ডিজিস্টার ম্যানেজমেন্ট ও লাইফ বোর্ট জ্যাকেট সহ নৌকা থাকবে। ছট পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে ও গঙ্গারামপুর পৌরসভার পৌরপিতা প্রশান্ত মিত্রের উদ্যোগে গঙ্গারামপুর পূর্ণভবা নদী ঘাটগুলির সংস্কারের কাজ চলছে জোর কদমে। বৃহস্পতিবার গঙ্গারামপুর পৌরসভার পৌরপিতা প্রশান্ত মিত্র বলেন, “প্রত্যেক বছরের মত এবছরও গঙ্গারামপুর পৌরসভার উদ্যোগে গঙ্গারামপুর পূর্ণভবা নদীর বিভিন্ন ছট পুজোর ঘাটগুলিতে জোর কদমে সংস্কারের কাজ চলছে। পাশাপাশি তেমনি বিভিন্ন ছট পুজো কমিটি বাঁশের প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জার কাজ শুরু করে দিয়েছে। ছট পুজোর দিন নদীরঘাটগুলিতে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের নজরদারি থাকবে। নদীতে কোনরকম দুর্ঘটনা এড়াতে গঙ্গারামপুর পৌরসভার উদ্যোগে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ও থাকবে। ছট পুজো মূলত হিন্দি ভাষাভাষী মানুষের হলেও তা এখন হিন্দি ভাষাভাষী মানুষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বাঙালিরাও ছট পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন ও পুজো করেন”।